Loading...
News

Campus Updates

Shahjalal University of Science & Technology
news

শাবিপ্রবিতে ক্লাস হবে শুক্র-শনিবারও

দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় একাডেমিক কার্যক্রমে স্থবিরতা রোধে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও (শুক্র ও শনিবার) ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ছাড়া যেদিন হরতাল-অবরোধ থাকবে না, সেদিনও ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হবে।

 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. কবির হোসেন বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে শুক্র ও শনিবার অবরোধ না থাকায় এ দুই দিন বিভিন্ন বিভাগে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, বাকি দিনগুলোয় অবরোধ না থাকলে সরাসরি শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে চলমান সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হবে।

এদিকে নভেম্বরের শুরুতে সারা দেশে অবরোধ (শুক্র–শনিবার ছাড়া) কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। আজ বুধবার ভোর ছয়টা থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। দুই দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথে এ অবরোধ আগামী শুক্রবার ভোর ছয়টায় শেষ হবে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা চলছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে উপস্থিতি কিছুটা কম।

PROTHOM ALO

prothom alo
  • 09 November 2023
University of Dhaka
news

ভর্তিতে ভোগান্তি আর মানহীন প্যাকেজে বিদেশি শিক্ষার্থী হারাচ্ছে ঢাবি

নেপালি ছাত্র অর্জুন কুমার কাফলে ছোটবেলা থেকেই অনেক নামডাক শুনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)। তাই ২০১৮ সালে নেপাল থেকে ঢাকায় আসেন পড়তে। কিন্তু তার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গিয়ে প্রথমেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ২০১৮-১৯ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি হতে গিয়ে তাকে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়তে হয়। এ দপ্তর থেকে সে দপ্তর, ডিপার্টমেন্ট থেকে হল, হল থেকে রেজিস্ট্রার বিল্ডিং (প্রশাসনিক ভবন), সেখান থেকে আবার ব্যাংক হয়ে ডিপার্টমেন্ট। এভাবে এ ভবন থেকে সে ভবন ঘোরা, পুলিশ ভেরিফিকেশন, মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে তার প্রায় চার মাস লেগে যায়।

উপরের এই গল্প শুধু অর্জুনের না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা প্রায় সব বিদেশি শিক্ষার্থীর ভোগান্তির পর্বগুলো প্রায় একই। বর্তমান পদ্ধতিতে, একজন বিদেশিকে প্রথমে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং তারপরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হয়। অনুমোদন পাওয়ার পর, শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে হয়। অনলাইনে এসব প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিভাগ ও ফ্যাকাল্টিতে ক্লাসরুমে শিক্ষকরা ইংরেজিতে লেকচার দেন। কিন্তু অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস লেকচার বাংলায় হওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভাষা বুঝে ক্লাসের বিষয়বস্তু আয়ত্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়।

এ বিষয়ে ঢাবির নেপালি ছাত্র অর্জুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রথম প্রথম ক্লাসে বাংলা বলায় আমি লেকচার বুঝতে পারতাম না। আমি একদিন বিষয়টি এক শিক্ষককে জানালে তিনি আমাকে বলেন এখানে পড়তে হলে অবশ্যই বাংলা শিখতে হবে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বাংলা আমার আয়ত্তে আসে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো স্কলারশিপ। বেশ কিছু বিভাগে পড়ালেখার খরচ মাত্রাতিরিক্ত বলে দাবি করেন অর্জুন। তার মতে, প্রতিবছর ভর্তির জন্য ৫০০ ডলার খরচ হয়। পাশাপাশি থাকা খাওয়া হল ফিসহ নানা ধরনের খরচ আছে। এখানে কোনো স্কলারশিপের ব্যবস্থা নেই তাই নেপালি মধ্যবিত্তরা চাইলেও এখানে পড়তে আসতে পারবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ভর্তির সময় একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেও পরবর্তীতে আর সমস্যা হয়নি। অধিকাংশ ক্লাস বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষা একত্রে ব্যবহার করা হয়। ইংরেজির মধ্যে বাংলা আর বাংলার মাঝে ইংরেজি এভাবেই ক্লাসগুলো হয় তবে ইংরেজি বেশি ব্যবহার করা হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো স্কলারশিপ। বেশ কিছু বিভাগে পড়ালেখার খরচ মাত্রাতিরিক্ত বলে দাবি করেন অর্জুন। তার মতে, প্রতিবছর ভর্তির জন্য ৫০০ ডলার খরচ হয়। পাশাপাশি থাকা খাওয়া হল ফিসহ নানা ধরনের খরচ আছে। এখানে কোনো স্কলারশিপের ব্যবস্থা নেই তাই নেপালি মধ্যবিত্তরা চাইলেও এখানে পড়তে আসতে পারবে না।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক নেপালি ছাত্র বলেন, বাংলায় লেকচার হওয়ার কারণে আমিও প্রথম কয়েকমাস লেকচার বুঝতে পারিনি। কিন্তু উপায় না থাকায় আমি যত দ্রুত সম্ভব বাংলা শিখে নিয়েছি।

আরও পড়ুন: অবরোধেও চলছে স্কুল, শঙ্কিত শিক্ষার্থী-অভিভাবক

একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হয় প্রধানত শিক্ষার মান ও সুযোগ সুবিধা দেখে। কিন্তু সেটির কোনো উন্নত প্যাকেজ বাস্তবায়ন না থাকায় বছর বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ডেস্ক ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাবিতে এই মুহূর্তে মূল শিক্ষাক্রমে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ জন। এছাড়া অধিভুক্ত বিশেষ করে মেডিকেল কলেজগুলোতে রয়েছে আরও ৮৬ জন। অথচ ১০ বছর আগে ঢাবির মূল শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী ছিলেন ২৫ জন। অর্থাৎ ক্রমেই কমে আসছে এই সংখ্যা।

সার্বিকভাবে ঢাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমে যাওয়ার ব্যাপারে এক একান্ত আলাপচারিতায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা হয় স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানের সাথে। তিনি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ঢাবিতে না আসার পেছনে সার্বিক শিক্ষার মানের অবনমনকে দায়ী করেন।

তিনি বলেন, ৯০ দশক ও তার পরবর্তী সময় থেকেই এদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সেটির প্রভাব শিক্ষার উপর বেশ নেতিবাচকভাবে পড়ে। আর বিদেশিদের কাছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরার যে মেকানিজম সেটা মাঝখানে কর্তৃপক্ষ ঠিক মতো করতে পারেনি।

এছাড়া দেশে প্রয়োজনের অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলাকেও শিক্ষার মান কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ হিসেবে দেখেন এই অধ্যাপক। তাঁর মতে, নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় করার চেয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতোমধ্যে আছে সেগুলোর মান উন্নয়ন করা বেশি জরুরি। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে দলীয়করণও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। শিক্ষার উপকরণ ২১ শতকের পঠন-পাঠনের সাথে আপ-টু-ডেট না থাকলে বিদেশি শিক্ষার্থী আসবে কেন!

এক বুক সপ্ন ও আশা নিয়ে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার পর সুযোগ-সুবিধার তেমন কোনো উন্নত দিক পান না। দেখা যায় বেশ কিছু বিভাগে ক্লাস রুমে এসি নেই। গাদাগাদি করে বসতে হয়। এছাড়া হলে পর্যাপ্ত বিদেশি ক্যান্টিন নেই যেখানে নানা দেশ ও সংস্কৃতির খাবারের আয়োজন থাকবে।

নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় করার চেয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতোমধ্যে আছে সেগুলোর মান উন্নয়ন করা বেশি জরুরি। এছাড়া শিক্ষক নিয়োগ ও পদন্নতির ক্ষেত্রে দলীয়করণও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরে রাখার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। শিক্ষার উপকরণ ২১ শতকের পঠন-পাঠনের সাথে আপ-টু-ডেট না থাকলে বিদেশি শিক্ষার্থী আসবে কেন!

এ প্রসঙ্গে ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শান্তুনু মজুমদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি মনে করি না ঢাবির পড়াশোনার মান কখনই বিশ্বমানের ছিল। অর্থাৎ আগেও যে খুব বেশি স্টুডেন্ট এখানে পড়তে আসতো ব্যাপারটা এমন না। তবে আমি মনে করি একটা বিদেশি স্টুডেন্টদের আকৃষ্ট করতে হলে যে সঠিক ব্রান্ডিং বা প্যাকেজ উপস্থাপন করা দরকার হয় সেটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাবি করে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারণত ব্যাবসায়িক স্বার্থে শিক্ষার্থী পাওয়ার জন্য এটি করে থাকে।

আরও পড়ুন: বিদেশে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন ঢাবি ভিসি

ঢাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থী বাড়ানোর ৩টি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক। তাঁর মতে, রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল দপ্তরকে আরও বেশি রেস্পন্সিভ হতে হবে ও দ্রুত সময়ের মধ্যে তথ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাবিতে ভর্তি জটিলতা কমানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং প্রাক্তন বিদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে তারা যেন তাদের দেশে ফিরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঢাবির ইতিবাচক দিকগুলো ছড়িয়ে দেয়।

সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে যে বিষয়টি পাওয়া যায় তা হলো গুণগত মানসম্পন্ন কোনো প্যাকেজ ঢাবিতে নেই যা দিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। যে প্যাকেজে একটি সরল ভর্তি প্রক্রিয়া, যুগোপযোগী শিক্ষা, ও উন্নত লজিস্টিক সুবিধা থাকে সেখানেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে আগ্রহ প্রকাশ করে। কয়েক দশকে ঢাবির এই প্যাকেজের গুণগত মান ক্রমাগত হারে পড়ে গেছে যার ফলে সমানুপাতে কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

কম্পিউটার সায়েন্স, ফার্মেসি এরা উন্নত সেবা প্রদান করে থাকে। এ ধরনের বিভাগে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে টাকায় সেবা পায় সেটা তো অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা পাবে না। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এরকম কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট ৪০০ বা ৫০০ ডলার নিয়ে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। 

ঢাবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীর কমে যাওয়ার ব্যাপারটাতে একমত পোষণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দেখে সেখানে পড়তে যায়। কিন্তু আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা শিক্ষার্থীদের এখনো দিতে পারছি না। আমরা কোনো ধরনের স্কলারশিপ দিতে পারছি না। অন্যান্য দেশে শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং অন্যান্য কারণে বিভিন্ন সময় ৩ বছরের কোর্স শেষ হতে সময় লাগে সাত বছর। তাই সব ধরনের নিশ্চয়তা,পড়ালেখার উন্নত মান আমরা দিতে পারছি না। এজন্য আগের থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী কমছে।

তবে ভবিষ্যতে ঢাবিতে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, লেখাপড়ার মান আরও উন্নত হবে। আমরা ইতোমধ্যে বাইরের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ডেস্ক তৈরি করেছি। আশা করছি ধীরে ধীরে শিক্ষার্থী বাড়বে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি অতিরিক্ত হওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য জানান, কিছু বিভাগ যেমন কম্পিউটার সায়েন্স, ফার্মেসি এরা উন্নত সেবা প্রদান করে থাকে। এ ধরনের বিভাগে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে টাকায় সেবা পায় সেটা তো অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা পাবে না। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এরকম কয়েকটি ডিপার্টমেন্ট ৪০০ বা ৫০০ ডলার নিয়ে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। 

*প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন ঢাবি প্রতিনিধি জোবায়ের হোসাইন
the daily campus


the daily campus
  • 08 November 2023
Northern University Bangladesh
news

অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার ঘোষণা নর্দান ইউনিভার্সিটির

আগামী ৭  থেকে ১১ নভেম্বরের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটি। সোমবার (০৬ নভেম্বর) উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার এম মুনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় প্রধান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, ছাত্র-ছাত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণ বশত, আগামী ০৭ নভেম্বর ২০২৩ইং হতে ১১ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস অন-লাইন-এ অনুষ্ঠিত হবে। সকল অনুষদের ডীন এবং বিভাগীয় প্রধানগণ ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল বিভাগীয় প্রধান ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরদেরকে রুটিন অনুযায়ী স্ব স্ব প্রোগ্রাম বা বিভাগের উল্লিখিত তারিখের পরীক্ষা ও ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে একই বিজ্ঞপ্তিতে।
the daily campus


the daily campus
  • 07 November 2023
University of Barishal
news

উপাচার্যের বিদায়ে শিক্ষার্থীদের উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) ড.মো. ছাদেকুল আরেফিনের বিদায়ে ক্যাম্পাসে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নীচ তলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। 
 
টানা ৩৫ দিন আন্দোলনে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমামুল হকের বিদায়ের পর ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। জানা যায়, যোগদানের সময় তিনি ফুলেল শুভেচ্ছা নেননি বিদায় বেলায় নিবেন বলে। কিন্তু বিদায়ের সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা পেলেও, শিক্ষার্থীদের থেকে পেয়েছেন তিরস্কার আর সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ৪ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীরা জানান, মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হয়ে আজকে  মিষ্টি বিতরন কর্মসূচি পালন করেছে। এর আগে গতকাল রোববার মধ্যরাতে চার বছর মেয়াদ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড.মো. ছাদেকুল আরেফিন। 
the daily campus


the daily campus
  • 07 November 2023
Islamic University, Bangladesh
news

অবরোধের সমর্থনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানার ছাত্রদলের

দেশব্যাপী ডাকা বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ সমর্থনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন ভবনে ব্যানার ঝুলিয়েছে শাখা ছাত্রদল। সোমবার (৬ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফায় ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সকাল ৭টার দিকে ব্যানার ঝুলিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সকাল ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন এবং রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনে ব্যানার ঝুলিয়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ব্যানারে ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’, ‘রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ লেখা দেখা যায়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন জানান, আমরা একদফা দাবিতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসন ভবনসহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছি। জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থেই আমরা এই কর্মসূচি পালন করছি। এটা দেশের সব জনগণ ও শিক্ষার্থীদের দাবি। একইসঙ্গে আমরা দাবি জানাচ্ছি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। ক্যাম্পাস বন্ধ না করার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে দায় নিতে হবে। আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে এক দফার বিকল্প নেই। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না।

ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলানোর কিছুক্ষণ পর শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা সেখান থেকে তাদের ব্যানার সরিয়ে ফেলেন বলে দাবি করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। তিনি বলেন, সকালে আমাদের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ব্যানার দেখতে পায়। পরে তারা সেই ব্যানার সরিয়ে ফেলে। ছাত্রদল এই ব্যানার লাগিয়ে দেশ বিরোধী চক্রান্তের পাঁয়তারা করছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা মনে করছি ছাত্রদল এই ব্যানার লাগিয়ে তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।  

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি এমন একটি খবর পেয়েছিলাম যে প্রশাসন ভবনসহ কয়েকটি ভবনে ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। খবর পেয়ে একজন সহকারী প্রক্টরকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। তিনি গিয়ে কোনো ব্যানার পাননি। তবে কোনো ভবনে তালা দেয়নি কেউ। তাছাড়া কে কোথায় ব্যানার ঝুলিয়েছে এটা তো প্রক্টরিয়ার বডির কাজ নয়। তালা দিলে আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।


the daily campus
  • 07 November 2023
Daffodil International University
news

মাইকে ঘোষণা দিয়ে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, আহত ১০

এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয়রা। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  গত ২৭ অক্টোবর টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে খাগান এলাকায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজু হাসপাতাল পরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের তত্ত্বাবধানে তাকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২ নভেম্বর মারা যায় অন্তর। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে মামলার আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
the daily campus


the daily campus
  • 06 November 2023