Loading...
Notice

উপবৃত্তির আবেদন ২৭ ফেব্রুয়ারি, শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য অন্তর্ভুক্তি যেভাবে


25 February 2023   ||  1 year ago
 

উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা কমিটির মাধ্যমে সফটওয়্যারে নির্ধারিত অপশন ব্যবহার করে ২২ মার্চের মধ্যে আবেদন পাঠাতে হবে।

যেভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন

উপবৃত্তি পেতে কর্মসূচির আওতাভুক্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। দারিদ্র্য ও প্রক্সি মিন্স টেস্টিং যৌথ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তথ্য যাচাই–বাছাই এবং একটি বিশেষায়িত সফটওয়্যারের মাধ্যমে উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। শুধু ষষ্ঠ ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতায় উপবৃত্তি পাওয়ার আবেদন করতে পারবে। তবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যারা উপবৃত্তি কর্মসূচির বাইরে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে নতুন ভর্তি হয়েছে, তারা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার্থী অন্য কোনো সরকারি উৎস থেকে উপবৃত্তি বা অভিভাবক শিক্ষা ভাতা গ্রহণ করলে উপবৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধা বা সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

উপবৃত্তির আবেদন ২৭ ফেব্রুয়ারি, শিক্ষার্থী নির্বাচন ও তথ্য অন্তর্ভুক্তি যেভাবে
 
প্রথম আলো ফাইল ছবি

শতভাগ উপবৃত্তি কারা পাচ্ছে

দেশের ১০টি উপজেলার ক্ষেত্রে উপবৃত্তির সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা সব শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হবে। উপজেলাগুলো হলো বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম, কুড়িগ্রামের সদর, চর রাজিবপুর, চিলমারী, উলিপুর ও ভূরুঙ্গামারী, দিনাজপুরের কাহারোল ও খানসামা এবং কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর।

শিক্ষার্থী নির্বাচন কীভাবে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নীতিমালা ও গাইডলাইন অনুসরণের মাধ্যমে সারা দেশে ষষ্ঠ, নবম ও একাদশ শ্রেণির উপকারভোগী শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। দারিদ্র্য নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ব্যবহৃত প্রশ্নমালার ওপর ভিত্তি করে একটি নমুনা আবেদনপত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের ফরম্যাট প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক ও উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার উপদেষ্টা কমিটি শিক্ষার্থীর আবেদনের তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাই করবে। আবেদনপত্রের তথ্য যাচাই–বাছাই শেষে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে এইচএসপি-এমআইএসে এসব তথ্য এন্ট্রি করতে হবে। তথ্য এন্ট্রির পর প্রতিষ্ঠান থেকেই তথ্য অনলাইনে উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে।

উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপবৃত্তির জন্য উপজেলা বা থানায় পাঠানো সব আবেদনপত্র উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার উপদেষ্টা কমিটির বিবেচনার জন্য পেশ করবেন এবং অ্যাডভাইজরি কমিটির অনুমোদন নিয়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীর তথ্য উপজেলা বা থানা থেকে এইচএসপি বা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে পাঠাবেন।

সারা দেশের উপবৃত্তি উপকারভোগী শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট অফিসের এমআইএস সেলের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এইচএসপি ইউনিটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন। লৈঙ্গিক ভিত্তিতে নয়, বরং দারিদ্র্যের ভিত্তিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থী নির্বাচন হবে। ফলে, এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমবেশি হতে পারে। শারীরিক প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম যথাযথ যাচাই–বাছাইয়ের পর সরাসরি এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেওয়া  সনদ বা প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি এমআইএসে সংযুক্ত এবং সংরক্ষণ করতে হবে। সব শিক্ষার্থীর ১৭ সংখ্যার অনলাইন জন্মসনদ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা হবে
 
উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা হবে
 
ফাইল ছবি প্রথম আলো

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর তথ্য এইচএসপি-এমআইএসে এন্ট্রি করলেই উপবৃত্তি পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। আবেদনকারী শিক্ষার্থী দেওয়া তথ্য এইচএসপি-এমআইএসের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের কমিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আবেদনপত্রের তথ্য যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করবে। কমিটির সদস্যরা প্রয়োজনে শিক্ষার্থীর বাড়ি পরিদর্শন করে আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করবেন। সত্যতা যাচাই শেষে শিক্ষার্থীদের তথ্য এইচএসপি-এমআইএসে এন্ট্রি করে ‘আবেদনপত্রের সব তথ্য সঠিক আছে’ মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠাবেন এবং আবেদনপত্রের হার্ড কপি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন। তবে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের কমিটিতে উপকারভোগী নির্বাচনে কোনো অসত্য তথ্য দিলে বা অনিয়ম করা হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সময় সভায় মিলিত হতে পারবে।

উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ

সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বা বেতন মওকুফ থাকবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনুকূলে স্কিম ডকুমেন্ট মোতাবেক নির্ধারিত হারে টিউশন ফি বা বেতন দেওয়া হবে। উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনোক্রমেই টিউশন ফি বা বেতন আদায় করা যাবে না।

তথ্য অন্তর্ভুক্তি যেভাবে

শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো মধ্যে আছে একাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে একই অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না, একই অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মুঠোফোন নম্বর কেবল একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষার্থীর জন্মসনদ নম্বর অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। বাবা, মা বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (১০ অথবা ১৭ সংখ্যা) অবশ্যই এন্ট্রি করতে হবে। ১৩ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের ক্ষেত্রে প্রথমে জন্মের বছর বসিয়ে ১৭ সংখ্যায় রূপান্তর করতে হবে। শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যেকোনো বৈধ বা সচল অনলাইন ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক হবেন বাবা বা মা। কেবল মা–বাবার অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে (ভাই বা বোন বা দাদা বা দাদি বা নানা বা নানি) অভিভাবক হিসেবে নির্বাচন করা যাবে। তথ্য এন্ট্রির সময় বাবাকে অভিভাবক নির্বাচিত করলে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে বাবার নাম এন্ট্রি করতে হবে। অভিভাবক হিসেবে মাকে নির্বাচিত করলে মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে মায়ের নাম এন্ট্রি করতে হবে। মা–বাবার অনুপস্থিতিতে অন্য কোনো ব্যক্তিকে অভিভাবক নির্বাচিত করলে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং অভিভাবক ও হিসাবধারীর নাম হিসেবে তাঁর নাম এন্ট্রি করতে হবে। স্কুল ব্যাংকিং বা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে যাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, হিসাবধারীর নাম হিসেবে তাঁর নাম এন্ট্রি করতে হবে।
উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি বা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা অন্য কোনো কারণে এইচএসপি-এমআইএসে লগইন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ই–মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করতে হবে।

**আবেদন ফরমের লিংক পেতে এখানে ক্লিক করুন

**উপবৃত্তির আবেদনের বিস্তারিত এখানে দেখুন

 

© Prothom alo

More notices
  • কৃষি নিয়ে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দিচ্ছে সরকার

     

    এ বৃত্তি আবেদনের শর্ত

    ১. প্রথম বছর Masters in Actuarial Science ডিগ্রির জন্য যুক্তরাজ্যের City University of London-এর Bayes Business School (Formerly Cass Business School) থেকে Unconditional Offer Letter থাকতে হবে। Conditional Offer Letter-সংবলিত আবেদনপত্র সরাসরি বাতিল বলে গণ্য হবে।

    ২. Bayes Business School-এর সব শর্ত পূরণপূর্বক Masters in Actuarial Science সম্পন্ন করার পর পরবর্তী ১ বছর মেয়াদে Masters in Actuarial Management প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

    ৩. বয়সসীমা: এ বছরের ৩০ মার্চে আবেদনকারীর বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর। বিমা সেক্টরে কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর।

    ৪. বিদেশে সম্পন্ন স্নাতক/মাস্টার্স ডিগ্রির ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে ইউজিসি কর্তৃক ডিগ্রি সমতায়নের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।

    ৫. সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের পর বিদেশে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে এই বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।

    ৬.ইতিপূর্বে সরকারি/বেসরকারি/আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থার পূর্ণাঙ্গ স্নাতক/স্নাতকোত্তর বৃত্তি/ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রার্থীরা এ বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।

    ৭. বৃত্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি অধ্যয়ন শেষে দেশে ফিরে কমপক্ষে ১০ বছর দেশের বিমা খাতের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

    ৮.আগ্রহী প্রার্থীরা fid.gov.bd ও idra.org.bd থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

    যা যা প্রয়োজন

    • সদ্য তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

    • শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ

    • পরীক্ষার নম্বরপত্র বা গ্রেড পয়েন্টের সত্যায়িত কপি

    • জাতীয় পরিচয়পত্র

    • পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি

    • TOEFL/IELTS পরীক্ষার ফলাফলের সত্যায়িত কপি

      এসব কপি সংযুক্ত করে যুগ্মসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও সদস্যসচিব, স্টিয়ারিং কমিটি বরাবরে ডাকযোগে অথবা সরাসরি আবেদনপত্র পৌঁছাতে হবে।

    আবেদন কত দিন

    • এ বছরের ৩০ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।

    • আবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে fid.gov.bd-তে ক্লিক করতে হবে।

    *আবেদনের বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

    *আবেদনের ফরম দেখতে এখানে ক্লিক করুন

    © Prothom Alo


  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভর্তিতে থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত ২২ ফেব্রুয়ারি

     

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সমন্বিত কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের চেয়ারম্যানদের একটি মতামত নিয়েছিলাম। বিশেষ সভায় তা আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অংশগ্রহণ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’

    সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছপদ্ধতি) থেকে বের হয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে উপাচার্যকে জানিয়েছেন তাঁরা।

    © Prothom Alo


  • রাবির মূল সার্টিফিকেট উত্তোলন, জবিতে ৩টি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ (ডিগ্রিপ্রাপ্ত) শিক্ষার্থীদের অরিজিনাল (মূল) সার্টিফিকেট উত্তোলনের আবেদনপত্র অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে। অনলাইনে আবেদনের জন্য নিচের নির্দেশনা মানতে হবে।

    ১. অরিজিনাল সার্টিফিকেট উত্তোলনের জন্য নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ ও নির্ভুলভাবে আবেদনপত্রটি পূরণ করতে হবে।

    ২. আবেদন  ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদনের লিংক-103.99.176.132/public

    ৩. আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইল নম্বর ও ই–মেইল ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

    ৪. প্রতিটি ডিগ্রির/অরিজিনাল সার্টিফিকেটের জন্য পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে।

    ৫. অরিজিনাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত হওয়ার পর এসএমএস–এর মাধ্যেম আবেদনকারীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    ৬. অরিজিনাল সার্টিফিকেট সংগ্রহের সময় হল প্রাধ্যক্ষ/কলেজ অধ্যক্ষের সুপারিশকৃত আবেদনের হার্ডকপি, পূর্বে উত্তোলনকৃত সাময়িক সনদের অরিজিনাল কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে। সাময়িক সনদপত্রের অরিজিনাল কপি ফেরত না দিলে অরিজিনাল সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।

    ৭. অনলাইনে আবেদনকারীদের মূল সার্টিফিকেট দেওয়ার স্থান: সৈয়দ শহীদ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনস্থ ৩য় তলায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সনদ বিতরণ কাউন্টার। নিজের অরিজিনাল সার্টিফিকেট নিজেকেই সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে স্পেশালাইড মাস্টার্স প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে।

    প্রোগ্রামসমূহ:

    ১. এমএসএস ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড কারেক্টশনাল সার্ভিসেস

    ২. এমএসএস হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড স্যোসাল জাস্টিজ

    ৩. এমএসএস ইন্ড্রাস্টিয়াল রিলেশনস অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ার

    আবেদনের শেষ তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারি

    ভর্তি পরীক্ষা: ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ৩টা

    তথ্য পেতে ওয়েবসাইট: jnu.ac.bd


  • নতুন শিক্ষাক্রমে ক্লাস ৫ দিন: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি

    শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘কারিগরি বিভাগে পূর্ববর্তী ১০ বছর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত চার বছরে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। এদিকে সব সময়ই কোনো না কোনো শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। কাজেই কিছু পদ শূন্য হচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা শিক্ষক নিয়োগ করি। এ নিয়োগপ্রক্রিয়া খুব সহজ নয়। এ মুহূর্তে আমাদের কোনো শিক্ষকসংকট নেই। কোথাও পদ শূন্য থাকলে তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে।’

    অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    © Prothom Alo


  • গুচ্ছে থাকছে ২২ বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি শেষ জুলাইয়ের মধ্যে

    চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ই থাকছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুচ্ছ কমিটির সভায় উপাচার্যরা এ কথা জানিয়েছেন। যদিও জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে তারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন।

    সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। আগের শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুরা যেসব বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া নতুন কোনও বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আসবে কি-না, সে বিষয়ে আরও পরে জানানো হবে। 

    সভায় এসব বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও তারিখ নির্ধারণ হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গুচ্ছে থাকার বিষয়ে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত তারা থাকবে বলে আশা করছি। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

    উপাচার্য বলেন, সব সমস্যার সমাধান করে আমরা জুলাইয়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আগের সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকছে। এ বিষয়ে শিগগিরই বিস্তারিত জানানো হবে। দ্রুত পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।


  • জেনে নিন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কবে কখন

    অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করেছে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেতে হলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি জানা থাকলে ভর্তির প্রস্তুতি কিছুটা সহজ হয়। 

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে শুরুর সুপারিশ করা হয়েছে। ৪টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডাররাও অংশ নিতে পারবেন৷ ২৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে ২০ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

    ভর্তি পরীক্ষার তারিখগুলো হলো
    ২৯ এপ্রিল চারুকলা ইউনিট, ৬ মে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট।

    পরীক্ষার সময়
    বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

    মানবণ্টন
    চারুকলা বাদে অন্য তিন ইউনিটে ৪৫ মিনিট করে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। আর চারুকলা অনুষদে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে।

    সেকেন্ড টাইম
    থাকছে না।

    আবেদন ফি
    ১০০ টাকা। চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী) যেকোনো শাখায় অথবা অনলাইনে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা আবেদন ফি জমা দিতে পারবে। 
    আবেদনের ওয়েবসাইট: 

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ১৫ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। ভর্তি আবেদন চলবে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। আর চূড়ান্ত আবেদন ৯ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে ১৫ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত করা যাবে। 

    ভর্তি পরীক্ষার তারিখ
    ২৯ মে সি ইউনিট (বিজ্ঞান), ৩০ মে এ ইউনিট (মানবিক) ও ৩১ মে বি ইউনিট (বাণিজ্য)। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা চারটি গ্রুপে ভাগ করে চার শিফটে নেওয়া হবে।

    মানবণ্টন
    ভর্তি পরীক্ষায় ৮০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। ১ ঘণ্টা সময়সীমায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫।

    সেকেন্ড টাইম
    থাকছে।

    প্রাথমিক আবেদন ফি
    ৫৫ টাকা।

    চূড়ান্ত আবেদন ফি
    এ ইউনিট ১ হাজার ৩২০ টাকা, বি ইউনিট ১ হাজার ১০০ টাকা, সি ইউনিট ১ হাজার ৩২০ টাকা।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) 

    প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
    ২০ মে

    লিখিত পরীক্ষা
    ১০ জুন

    মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি)
    এমআইএসটি আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে। আবেদন করা যাবে ২ মার্চ ২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত। অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তির অনলাইন আবেদন করা যাবে।

    পরীক্ষার সময়
    ১৮ মার্চ

    আবেদন ফি
    এ ইউনিটের আবেদন ফি ১০০০ টাকা। আর বি (বি+এ) ইউনিটে আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

    মানবণ্টন
    এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরের ওপর। এর মধ্যে গণিতে ৮০, পদার্থবিজ্ঞানে ৬০, রসায়নে ৪০ ও ইংরেজিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। বি ইউনিটে (স্থাপত্য) অঙ্কনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। সময় ২ ঘণ্টা।

    আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ও ৫টি আর্মি মেডিকেল কলেজের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
    আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত সরকারি প্রতিষ্ঠান। কলেজসমূহে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে করতে হবে। আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ এর দুইটি ক্যাটাগরী, এএমসি (আর্মি মেডিক্যাল কোর) ক্যাডেট ও এএফএমসি ক্যাডেট এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বেসরকারি ০৫ (পাঁচ) টি আর্মি মেডিক্যাল। ৩ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। 

    পরীক্ষার দিন
    ৮ এপ্রিল

    পরীক্ষার সময়সূচি
    ১০টা থেকে ১১টা

    আবেদন ফি
    ১০০০ টাকা

    শারীরিক যোগ্যতাঃ
    প্রার্থীকে মেডিক্যাল বোর্ড এর দ্বারা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উন্নীত হতে হবে । আর্মি মেডিক্যাল ক্যাটাগরির জন্যঃ

    পুরুষ (ন্যূনতম):

    উচ্চতাঃ ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি

    ওজনঃ ৪৫.৪৫ কেজি স্বাভাবিক- ৭৬ সেঃমিঃ সম্প্রসারিত-৮১ সেঃমিঃ দৃষ্টি শক্তিঃ {± 1.5 D (spherical); ± 1.0 D (cylindrical)}

    মহিলা (ন্যূনতম) :

    ৫ ফুট ২ ইঞ্চি

    ৪০.৯০ কেজি

    বুকের মাপঃ স্বাভাবিক- ৭১ সেঃমিঃ সম্প্রসারিত-৭৬ সেঃমিঃ

    দৃষ্টি শক্তিঃ {± 1.5 D (spherical); ° 1.0 D (cylindrical)}

    ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি
    লিখিত পরীক্ষা (MCQ পদ্ধতি) = ১০০ নম্বর।

    পরীক্ষার বিষয় ও নম্বরঃ

    পদার্থবিদ্যা ৩০

    রসায়নবিদ্যা ৩০

    জীববিদ্যা ৩০

    ইংরেজী ০৫

    সাধারন জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি) ০৫।

    এদিকে, চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ই থাকছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুচ্ছ কমিটির সভায় উপাচার্যরা এ কথা জানিয়েছেন। যদিও জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। তবে তারা শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সব প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। আগের শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুরা যেসব বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, সেগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া নতুন কোনও বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে আসবে কি-না, সে বিষয়ে আরও পরে জানানো হবে।