গবেষণার ক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতা অকল্পনীয় ভূমিকা রাখে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি ড. মো. শহিদুল হক। তিনি বলেন, আমার যোগাযোগ দক্ষতাছিল বলে অন্যান্য গবেষকদের থেকে আমি অনেক এগিয়ে ছিলাম। আমরা অনেকেই নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চাই না৷ এটি করা যাবে না। ভুল থেকেই আমাদের শিক্ষা শুরু হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) চবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী ‘ওয়ার্কশপ অন রিসার্চ’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় মূল বক্তা হিসেবে ড. মো. শহিদুল হক এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ক্লাবের (সিইউএমসি) উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ কর্মশালাটি শুরু হয়।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক ও গবেষণার প্রক্রিয়ার দিকে আলোকপাত করে ড. মো. শহিদুল হক বলেন, একজন গবেষককে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করতে হয়। 'নেভার কুইট' স্লোগান মাথায় রেখে লেগে থাকতে হয়। একটি গবেষণা শুরু করার পূর্বে অনেকগুলো বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। কিভাবে বিষয় নির্বাচন করতে হয়, কোন উপায়ে রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে হয় তা খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘স্কুল অব কমিউনিকেশন কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’ এর তরুণ গবেষক ড. আব্দুল আজিজ। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পাশাপাশি গবেষণার বিভিন্ন ধরন, প্রক্রিয়াসহ তার কিছু গবেষণা প্রকল্পের নমুনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গবেষক হতে হলে নিজে ব্যাক্তিগত উদ্যােগ নিয়ে চেষ্টা করতে হবে। অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিতে গিয়ে সময় এবং টাকা খরচ করে ফেলেন। তা উচিৎ নয়। সবকিছু ধীরস্থিরভাবে বুঝতে হবে নিজেকে। তাহলে আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা কমবে।