চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের ডাইনিংয়ের খাবারের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে খাবারের এই নতুন দাম কার্যকর করা হয়। এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির এক সভায় খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এর ফলে রোজাতে হলগুলোর ডাইনিংয়ে খাবারের দাম ২৫ টাকা থেকে এক লাফে ৩৫ টাকা এবং সেহরির দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে প্রভোস্ট কমিটি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের খাবারের মান সব সময়ই নিম্নমুখী। ভর্তুকি না দিয়ে হঠাৎ দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শিক্ষার্থীদের আয় বাড়েনি, উল্টো ব্যয়ের লাগাম টানতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিনিধিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষা হয়নি।
দাম বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপর শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সর্বশেষ দাম কমানোর দাবিতে আজ শুক্রবার পর বুদ্ধিজীবী চত্বরে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘প্রভোস্ট স্যার, ডাইনিংয়ে আসুন, একসঙ্গে খাই; রমজানে প্রহসন, মানি না, মানব না’ স্লোগান সংবলিত প্লাকার্ড বহন করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, আমরা খাবারের দাম কমানো ও মান ঠিক রাখার দাবিতে রোজা রেখে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আমরা যখন ভর্তি হই, তখন ২০ টাকা দিয়ে খেতাম। এরপর হঠাৎ তা ২৫ টাকা করা হলো। এখন এক লাফে তা ৩৫ টাকায় নিয়ে গেল।
বক্তারা আরও বলেন, পূর্বঘোষণা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দাম বাড়ানো অন্যায়। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছি।
খাবারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে চবির এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ডাইনিং ম্যানেজাররাও চালাতে পারছিলেন না। তারা ডাইনিং চালানো ছেড়ে চলে যেতে চান। তাই প্রভোস্ট কমিটির সভায় খাবার ও সেহরিতে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। খাবারের দামের সঙ্গে মানও বাড়ানো হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, খাবারের মেন্যুতে পরিবর্তন আসছে।
@courtesy :the daily campus