ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত গণিত বিভাগের উদ্যোগে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক জুড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম দৈর্ঘ্যে ‘পাই’ এর মান লিখন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ভবন, শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, ফুলার রোড, স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, টিএসসি ও কাজী মোতাহার হোসেন ভবনসংলগ্ন ক্যাম্পাস সড়কে প্রায় ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার জুড়ে ‘পাই’ এর মান লেখা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ. এফ. মুজিবুর রহমান গণিত ভবন সম্মুখস্থ রাস্তায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক গণিত দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ‘পাই’-লিখন কর্মসূচির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, বাংলাদেশ উইমেনস ম্যাথম্যাটিকস অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, এনবিআরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শুধু সংখ্যাতাত্ত্বিক দিক থেকেই নয়, গণিত, প্রকৌশল, কারিগরিসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ‘পাই’-এর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দীর্ঘতম এই ‘পাই’-এর মান লিখন কর্মসূচি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে গণিতের ব্যবহার সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে সমন্বিতভাবে উদ্ভাবনী ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপাচার্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
© Courtesy:the daily campus