Loading...
Blogs

ব্রেস্টে চাকা?


12 March 2023   ||  1 year ago
Health care

Dr Israt Shormi
Health Professional

এমনিতে কিছু নেই, একটু কিছু সমস্যা হল, শেষমেশ বেরোল ক্যানসার। তার ওপর আবার অনেকগুলো স্টেন্স গড়িয়ে গেছে। এমনটা আকছার হচ্ছে। ব্রেস্ট ক্যানসারের কথাই ধরুন। একটু বয়সকালে মেয়েদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায়। ব্রেস্টে কোনও বাদাহীন লাম্প বা মাংসপিণ্ড তৈরি হলে সাবধান হতে হবে। মাে এক বার নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করলেই ব্যাপারটা বেশির ভাগ সময় ধরা যায়। মুশকিল হয় কী, অনেকে ব্যাপারটা টের পেয়োও চেপে যান। তার পর যখন আসেন, তখন অনেকগুলি স্টেজ হয়তো গড়িয়ে গিয়েছে।

শুধু ব্রেস্টই নয়, শরীরের যে কোনও জায়গায় বাধাহীন মাংসপিণ্ড তৈরি হল, অথচ তাতে কোনও অসুবিধে না হলেই সতর্ক হতে হবে। ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড মানেই ক্যানসার নয়। তবে হওয়ার একটা আশঙ্খা থাকে। তাই রকম কিছু বুঝলেই দেরি না করে ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে। তাতে আপনিও নিশ্চিন্ত হবেন।

কিন্তু সব ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে আসতেই ভয় পান অনেকে। কী না কী বেরোবে

কিন্তু সত্যিই যদি ক্যানসার হয়, তবে প্রথম অবস্থ পড়লে বেশির ভাগ ক্যানসারই চিকিৎসায় ভাল হয়ে যায়। দেরি করে এলে তো অনেকগুলো স্টেজও গড়িয়ে যায়। তখন চিকিৎসাটা একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর ক্যানসারের উপসর্গ কিন্তু আরও অনেক ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রেও হতে পারে। শুধু শুধু দেরি করে আসার কোনও মানেই হয় না।
আর যেসব উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে এবার সে বিষয়ে আসি। ধরুন শরীরের কোথাও আঁচিল, টিউমার হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করল। না তা্র থেকে ব্লিডিং হতে শুরু করল। শরীরের যে কোনও জায়গা থেকে অস্বাভাবিক ব্লিডিং হলে সতর্ক হতে হবে। কোথাও ঘা হল, সেটা কিছুতেই সারছে না। সেটাও দেখিয়ে নিতে হবে। বেশি না সারে, তবে ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন। আবার থেকে মাসে যদি ১০-১৫% এজন কমে যায় তবে সেটা দেখিয়ে নেওয়া দরকার। আবার উল্টোটাও হয়। ধরুন কারও হঠাৎ করে ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করল। সে ক্ষেত্রেও ডাক্তার দেখানো দরকার।

Read more of this blogger
  • Health care

    স্বাস্থ্য সোপান

    স্বাস্থ্য সোপান

    রোজা রাখায় অনেক লাভ

    ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। যেমন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়, বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে মহর করে দেয়। রোজা একটি কার্যকর ডিটোক্সিফিকেশন থেরাপি। যার ফলে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থগুলো বিশ্লেষিত হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। রোজা সিগারেট এবং মদের মতো অনেক ধরনের আসক্তি থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এ বিষয়ে কোনো মতভেদ নেই যে রোজা একজন সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্যের আরও উন্নতি ঘটায়। কিন্তু যারা অসুখ-বিসুখে গছেন তাদেরও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখা উচিত। রোজা মস্তিষ্কের কার্যক্রম বাড়ায়

    রোজা মস্তিষ্কের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অধিক খাদ্য গ্রহণে শরীরের ওপর যেমন চাপ বৃদ্ধি পায়, তেমনি এই চাপ মস্তিষ্কের ওপরও পড়ে। এজনাই বলা হয়, Empty stomach is the power house of knowledge অর্থাৎ ক্ষুধাত উদর জ্ঞানের আধার।

    রোজা পেটের পীড়া কমায়

    মানুষের পেটই হল সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু। বছরে ন্যূনতম একবার পেটের নিষ্কাশন প্রয়োজন। সারা মাস সিয়াম পালন করলে উত্তমরূপে পেটের দূষিত ক্ষতিকর পদার্থের নিষ্কাশন ঘটে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ স্বাক্যের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য ভোজনবিলাসী এবং

    অতিমাত্রায় খাদকদের জন্য রোজা আশীর্বাদস্বরূপ। রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্যের উপকার

    তানেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। রোজায় এ সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যায়। রমজানে শরবত, পানীয় ও তরল খাদ্যের পরিমাণ বেড়ে যায়। বুট-ছোলা বর্তমানে ইফতারের প্রধান মেন্যু। তরল খাদা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি বুট-ছোলাও। কারণ বুটে রয়েছে প্রচুর শর্করা, আমিষ ভিটামিন। এসব কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

    লিভার ও কিডনির উপকারে রোজা

    কিডনির মাধ্যমে শরীরে প্রতি মিনিটে ১-৩ লিটার রক্ত সঞ্চালিত হয়। খারাপ পদার্থগুলো মুত্রথলিতে প্রেরণ করে। সাধারণত সারাবছর এগুলো ন্যূনতম বিজ্ঞানের সূযোগ পায় না। কিন্তু এক্ষেত্রে রোজ এমন একটি মাধ্যম যা মানবদেহের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সামঞ্জস্য রক্ষাসহ সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। কারণ পুরো এক মাস রোজা রাখায় এইসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দৈনিক প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পায়। ফলে পরবর্তী সময়ে এগুলো আরও শক্তি নিয়ে মানবদেহে কাজ করতে পারে। -ডা. ইসরাত শর্মী


  • Eye Care

    ছানি অপারেশনে লেন্সের রকমফের

    বিশ্বে সাময়িক অন্ধত্বের অন্যতম কারণ চোখের ছানি। সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পর থেকে চোখে ছানি পড়তে শুরু করে। তাই এই বয়সের পরই চোখের ছানির কারণে দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ ঘোলা হতে থাকে, যা চশমা দিয়েও স্বচ্ছ করা যায় না। 

    চোখে স্রষ্টা প্রদত্ত লেন্সটি ঘোলা হয়ে যায় বলেই এমনটি হয়। তাই ঘোলা লেন্সটি ফেলে কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করতে হয়। চোখের ছানির চিকিত্স।

    তাই অপারেশন। এই অপারেশনের বেশ কয়েকটি পদ্ধতি আছে। তবে বর্তমানে এর আধুনিক চিকিত্সা হচ্ছে ফ্যাকো সার্জারি। আরও উন্নত প্রযুক্তি হিসেবে ফ্যাকোর সঙ্গে যোগ হয়েছে লেজার।

     ফ্যাকো এবং লেজার মিলে চোখের ছানি অপারেশনকে করেছে আরও উন্নত ও নিখুঁত। অনেকেরই ধারণা, ছানি পরিপক্ব না হলে অপারেশন করা যায় না। সাধারণের এই ধারণার উল্টোটাই সত্যি।

    অপারেশনের প্রসঙ্গ এলেই আসে লেন্সের কথা। কোন লেন্স ভালো, কোনটা দীর্ঘস্থায়ী, কোনটা ব্যবহার করলে চোখে চশমা পরতে হবে না, কোনটার সঙ্গে চোখের রং অপরিবর্তিত থাকবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে মনে।

     আর এই প্রশ্ন ওঠাটা অমূলক নয়। লেন্সের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। উন্নতমানের একটি লেন্স থেকে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

     যে লেন্স যত সুবিধা দেবে, সেই লেন্সের দাম তত বেশি। তবে স্বচ্ছ দৃষ্টিশক্তির জন্য সাধারণ লেন্সই যথেষ্ট। দৃষ্টিশক্তির বাইরে বাড়তি সুবিধা পেতে উন্নত লেন্সের দরকার পড়ে, সে ক্ষেত্রে দামও বেশি পড়বে।

     ডা. ইসরাত শর্মী


  • Health care

    বেশি বেশি লবণ খাওয়া যাবে না

    দৈনিক সোডিয়াম ২০০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব হলে, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ থাকলে সোডিয়াম ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি খাওয়া যাবে না প্রতিদিন। 

    আমরা অনেক লবণ খাই। তাই লবণ খাওয়া কমাতে হবে। রেস্তোরাঁর খাবার, আচার, লবণযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে অনেক লবণ আসে। শুধু যে ঝাঁকানি থেকে পাতে লবণ খাই—তা-ই নয়। তাই খেতে হবে টাটকা খাবার।

    যতদূর সম্ভব ঘরে রান্না করা খাবার খেতে হবে। তবেই লবণ কম খাওয়া সম্ভব হবে। প্যাক করা খাবার, নিমকি, আচার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, হিমায়িত খাবার, ক্যানের সুপ, ড্রেসিং, সস, স্ন্যাকস খাওয়া কমাতে হবে।

     এমনকি সয়া সসে লো সোডিয়াম লেখা থাকলেও বেশি লবণ দেওয়া হয়। যখন বাইরে খাবেন, অর্ডার দেওয়ার পর রান্না করে এমন রেস্তোরা বেছে নেবেন। লবণ ছাড়া রান্না করতে বলুন এবং সস পাতের পাশে দিতে বলুন। 

     ডা. ইসরাত শর্মী


  • Health care

    শিশুর এত কান্না কেন?

    এর কান্না নিয়ে মায়েদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কেন এতো কাঁদে? কি তার কষ্ট? নাকি কোন অসুখ বিসুখ হাজারো চিন্তায় ব্যাকুল মা

    চিন্তিত এসব মায়েদের জন্য সুখবর হলো- দেখা গেছে, যে সকল শিশু জন্মের পর থেকেই খুব কান্না কাটি করে তাদের অধিকাংশের কান্নার কারণ কোন রোগ নয়। মজার ব্যাপার হলো, কান্নার মাধ্যমেই শিশু এ সময়ে কমিউনিকেট করে। আদর যত্ন চায়। ক্ষুধা পেলে খাবার চায়। প্রস্রাব পায়খানায় বিছানা ভিজে গেলে অ বোধ করে। কান্নার মাধ্যমেই সে সেটা প্রকাশ করে। পেটে ব্যাথা হলে কিংবা অন্য কোন অসুখ বিসুখে আক্রান্ত হলে শিশু সারাক্ষণ। কান্না কাটি করতে পারে। কোন প্রকার রোগ ব্যাধির লক্ষণ যদি না থাকে এবং যধের যত্ন আত্তি গড়েও অতিরিক্ত মাত্রায় কাঁে সেক্ষেত্রে মাকে ধৈর্য ধরতে হবে। বয়স ৩-৪ মাসে পৌছালেই এ ধরনের কান্না কমতে থাকে।

    মুধা লাগলে কিংবা পিপাষা পেলে শিশু কাঁদতে পারে। ৬ মানের কম বয়সী হলে মায়ের বুকের দুধ দিবেন। ৬ মাসের বেশী বয়স হলে বুকের দুধের সাথে অন্য খাবারও দিতে পারেন। শিশু কোন কারণে আনকমফোর্টেবল ফিল করণে কাঁদতে পারে। বিছানা আরামদায়ক না হলে কিংবা তার পজিশন আরামদায়ক না হলে। শোয়া অবস্থায় থাকুক কিংবা কোলে থাকুক তার পলিশন চেঞ্জ করে দিবেন। অনেক সময় খাওয়ার পর পেটে গ্যাস জমে। এতেও শিশু কাঁদতে পারে। এ অবস্থায় নার্সিং করাতে হবে। শিশুকে কাঁদের উপর নিয়ে পিঠের উপর হাতের তালু দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিতে হবে। পায়খানা করলে কিংবা প্রস্রাব করলে শিশু কাঁদতে পারে। তার ডায়াপার চেষ্ট করে দিন।

    ডায়াপারের পিন খোলা থাকলে শিশু আঘাত পেতে পারে। কান্না করতে পারে। ভায়পারের পিন অবশ্যই বন্ধ রাখুন। খুব বেশি জামা কাপর পরিয়ে রাখলে বাচ্চা গরমে কাঁদতে পারে। আবার কম জামা কাপর পরিয়ে রাখলে শীতের জন্যও

    কাঁদতে পারে। রুম খুব বেশি গরম হয়ে গেলে শিশু অস্বস্তিবোধ। করতে পারে। আপনাকে আবহাওয়া বুঝে শুনেই ডিসিশন নিতে হবে বাচ্চাকে কি ধরণের কাপর চোপর পরাবেন। সেটা হতে হবে অবশ্যই সুতির কাপর। অনেক সময় নামার গেল বা ফিতা বাচ্চার হাত পায়ের আঙুলে পেচিয়ে গেলে বাচ্চা কাঁদতে পারে।

    বাচ্চা অনেক সময় একাকিত্ব বোধ করলেও কান্না কাটি করে। বাচ্চাকে তাই কাছে রাখবেন। নিজের বিছানায় রাখবেন। বাচ্চার সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাকে গান শুনাতে পারেন। শুনাতে পারেন কোন মিউজিক কিংবা ছন্দময় কোন শব্দ যেমন হতে পারে মোবাইলের রিও টোন। একটু বড় বাচ্চা হলে হাটাতে চেষ্টা করান। দেখবেন কন্না থেমে গেছে। খুব বেশি অস্বস্তি বোধ করলে একটা আরামদায়ক গোসল করিয়ে দিন।

    শিশু অনেক সময় অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে কিংবা খুব বেশি টায়ার্ড হয়েও কান্না কাটি করে। এ অবস্থায় শিশুকে নিরিবিলি পরিবেশে রাখতে হবে। রুমের লাইট কমিয়ে দিতে হবে। ডিম লাইট জ্বালিয়ে দেয়া ভালো। রুমে বেশি লোকজনের উপস্থিতিও অনেক সময় শিশু সহ্য করতে পারে না। হৈ হুল্লোর পূর্ণ পরিবেশে শিশু খুব তাড়াতড়ি দুর্বग হয়ে পরে। নিরিবিলি শান্ত পরিবেশই শিশুর উপযোগী পরিবেশ। তবে শিশু যখন খুব কাঁদে তখন হাল্কা কোন শব্দ করলে সেদিকে শিশুর দৃষ্টি আকৃষ্ট হতে পারে। এতে করে কন্না কমতে পারে।

    এটা মনে রাখা খুব জরুরী, শিশুরা আদর যত্ন যেমন চায় তেমনি চায় প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তা। অর্থাৎ প্রতি মুহূর্তেই সে কাউকে না কাউকে কাছে পেতে চায়। রোগ ব্যাধি নেই, অন্য কোন সমস্যা নেই অথচ বাচ্চা সারাক্ষণ কান্না কাটি করছে এমন যদি হয় তবে সেইসকল বাচ্চাদের কোণে কোণে রাখতে হবে। আপর স্পর্শ পেলে কান্না কাটি কমে যাবে। কান্না থামাতে গিয়ে বাচ্চাকে কোলে নিয়ে জোরে জোরে ঝাঁকুনি দিবেন না। এতে বাচ্চার মস্তিষ্কে আঘাত লাগতে পারে।

    ক্রাই ডু চ্যাট নামক একটি জেনেটিক ডিজি আছে যাতে শিশু বিড়ালের মতো করে কাঁদে। ভয়ের কারণ নেই। এই রোগে আক্রান্ত শিশু জন্মের আগে কিংবা অব্যবহিত পরেই মারা যায়।

    ডা. ইসরাত শর্মী


  • Education Advice

    পরীক্ষার পূর্বরাত্রি

    টেনশন পরীক্ষার্থীদের অন্যতম সমস্যা। এই টেনশন দূর করতে পরীক্ষায় কৌশলগত প্রস্তুতির বিকল্প নেই। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে প্রস্তুতি নিয়ে আস্থাশীল থাকতে হবে। পরীক্ষার্থীকে আগত করতে পরিবারেরও একটি ভূমিকা রয়েছে। টেনশন দূর করতে কনফিডেন্স নিয়ে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। মনে রাখতে হবে জীবনে পরীক্ষা থাকবেই। আর এই পরীক্ষার মুখোমুদ্ধি হয়ে পরীক্ষাকে জয় করতে হবে। পরীক্ষা ছাড়া জীবন হয় না। পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে না ভেবে পরীক্ষার মুােমুখি হতে হবে। কারণ জীবন এক চলমান প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ধাপে রয়েছে পরীক্ষা। পরীক্ষা একটি স্বাভাবিক বিষয়। এটি জীবনেরই অংশ। কাজেই এ নিয়ে বাড়তি টেনশনের দরকার নেই। পরীক্ষার মধ্যে চড়াই-উৎরাই থাকবে। কোন পরীক্ষা কার জীবনে সাফল্যের দ্বার খুলে দেবে তা কেউই জানে না। সুতরাং পরীক্ষা নিয়ে অযথা টেনশন নয়।

    পরীক্ষার আগের দিন কখনও অতিরিক্ত পড়াশোনা করা যাবে না।

    পরীক্ষার কেন্দ্র এবং পরীক্ষার সময় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। পরীক্ষার দিন যাতে পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে বের করতে না হয়। আর পরীক্ষার হলে পৌছানোর জন্য বাহন এবং পর্যাপ্ত সময় হাতে রাখতে হবে।

    পরীক্ষার আগের রাত্রেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ, প্রবেশপত্র ইত্যাদি একটি বাক্সে তৈরি অবস্থায় রেখে দিতে হবে।

    আগের দিন বাড়তি ক্যাফেইন এবং নিকোটিন গ্রহণে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে কিছুটা সময় রিলাক্স করতে হবে। পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষা নিয়ে কোনো নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঢোকানো ঠিক হবে না। বন্ধুর সঙ্গে, এই প্রশ্নটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটা পড়া হয়নি, প্রশ্ন খুব হার্ড হারে শুনেছি এ জাতীয় কথা চাপাচাপি না করাই উত্তম।

    ডা. ইসরাত শর্মী


  • Health care

    বাড়িতে রক্তচাপ মাপুন

    শুধু রক্তচাপ মাপার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। হোম মনিটরিং বা বাড়িতে রক্তচাপ মাপার অভ্যাসকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন উৎসাহিতই করছে। এতে অনেক না জানা উচ্চ রক্তচাপের রোগীর রক্তচাপ ধরা পড়ে। তা ছাড়া যাঁরা রক্তচাপের ওষুধ খান, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও যাঁদের রক্তচাপ ওঠানামা করে, তাঁদের জন্য এই তদারকি বেশ উপকার বয়ে আনে। আসুন, জেনে নিই কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ পরিমাপ করা যায়।

    রক্তচাপ মাপতে মনিটরযুক্ত যন্ত্রের চেয়ে সাধারণ স্ফিগনোম্যানোমিটারই ভালো। মনিটরযুক্ত যন্ত্র হলে ভালো কোম্পানির নিখুঁত যন্ত্র নিন। বছরে একবার যন্ত্রটি পরীক্ষা করিয়ে। নেবেন।

    চা-কফি পান করার পর, ব্যায়ামের পর, খাদ্যগ্রহণ বা ধূমপান করার পর বা খুব অস্থিরতার সময় রক্তচাপ না মাপাই ভালো। একই সময়ে রক্তচাপ দেখা ভালো, বিশেষ করে যদি রক্তচাপের ওঠানামার সমস্যা থাকে। যেমন: সকাল ১০টা ও রাত ৮টা এমন দুটো সময় ঠিক করে নিলেন।

    রক্তচাপ মাপার আগে শান্ত হয়ে ৫-১০ মিনিট বসুন। ঢিলে হাতের বা হাফ হাতা জামা পরুন। হাতটি টেবিলের ওপর বিছিয়ে দিন এমনভাবে যেন তা হাটের লেভেলে থাকে। কাফটা ঠিক করে বাঁধতে হবে। বেশি ঢিলে বা টাইট হবে না। শিশু ও বেশি স্কুল ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাফ লাগে। স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রামটা ঠিক জায়গায় বসাতে হবে।

    ৩ অস্বাভাবিক রক্তচাপ পাওয়া গেলে আধ ঘণ্টা পর আবার মাপুন। অস্থির বা উদিগ্ন হবেন না। সিস্টোলিক ১৮০ ও ডায়াস্টোলিক ১২০-এর ওপর আবারও পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন বা হাসপাতালে যান। এ ছাড়া রক্তচাপ একটু কম- বেশি হলেও নিজে নিজে ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করবেন না বা ওষুধ বন্ধ করে দেবেন না।

    । প্রতিদিন বা বারবার রক্তচাপ মাপার দরকার নেই। এতে অযথ উদ্বেগ বাড়বে। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, দম আটকে আসা ইত্যাদি সমস্যা হলে দেখতে পারেন। কোনো ওষুধ নতুন শুরু করার বা পরিবর্তন করার পরের দুই সপ্তাহে কয়েকবার মাপা উচিত।

    ডা. ইসরাত শর্মী

     


  • Health care

    রয়ে-সয়ে খেলে বাঁচে শরীর

    ভোজে যাওয়ার আগে ফলাহার করে, এক মুঠো বাদাম খেয়ে বেরোলে তেমন অতিভোজন করতেই পারবেন না ভোজের টেবিলে। ব্যায়ামের কর্মসূচিতে বিরতি টানা একেবারেই অনুচিত হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, এমনকি ভ্রমণের সময়ও শরীরচর্চা চলবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। ভোজের সময় হাতের কাছে পানির বোতল থাকতেই হবে।

    শরবত, কোমল পানীয়, ড্রিংকস এসব বর্জন করলে ভালো। এতে

    অনাবশ্যক ক্যালোরি যোগ হবে শরীরে। শুনতে কেমন লাগবে জানি না, তবু বলি, মিষ্টি আর চকলেটের প্যাকেট উপহার না দিয়ে ফল ও বাদামের প্যাকেট উপহার দিলে বেশ স্বাস্থ্যসম্মত হয় কিন্তু। এমন চর্চা শুরু করতে পারেন না কেউ?

    স্বাস্থ্যকর আহারের চর্চা উৎসাহিত করা উচিত এবং কেবল রোগীকে দেখার সময় ফল হাতে গিয়ে নয়, উৎসবে-অনুষ্ঠানেও ফল হাতে গেলেও তো হয়, তাই না? একটি কাজ করলে কেমন হয়। নিজের বাড়িতে ভোজের আয়োজন করে নেমন্তন্ন করুন বন্ধু-স্বজনদের। তাদের ক্যালোরিসমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন না করে স্বাস্থ্যকর খাবার দিলে খুবই ভালো হবে। অন্যদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে, ক্যালোরিখন নয় এমন সব খাবারের নতুন নতুন রেসিপি বানানোর চেষ্টাও করতে হবে।

    নিজে খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে তা নয়। আইসক্রিম, কোমল পানীয়, চর্বি এড়ানো ভালো। বিরিয়ানি, রেজালা খেলেও কম খেতে হবে। এক দিন বেশি খাওয়া হলে পরপর তিন দিন ডিম আহার করার সংকল্প নিতে হবে। অনেকে ভোজের সময় বেশি খাওয়ার জন্য আগের বেলা না খেয়ে থাকেন। এটা কিন্তু ঠিক নয়। কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে হিতের চেয়ে বিপরীত হবে। এতে ভোজের সময় প্রচুর খাওয়া হবে। খেতে হবে সচেতনভাবে, কেবল ক্ষুধা পেলেই খেতে হয়। भ খারাপ হলে বেশি খাওয়া হয়। প্লেটে থাকুক সবজি সালাদ, ফলের টুকরা ও দই। এভাবেই উৎসব জমবে, স্বাস্থ্যও থাকবে ভালো।

    লেখক: চিকিৎসক

    ডা. ইসরাত শর্মী


  • Health care

    শীতে শরীর গরম রাখার বিজ্ঞানসম্মত উপায়

    শীতকালে বাড়ির বাইরে আরাম খুঁজে পাওয়াটা সহজ নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে বিজ্ঞান! প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে তাপের পরিবহন ও পরিচলন। আপনি যখন ঠাণ্ডা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তার সংস্পর্শে আপনার পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া হল পরিবহন। আবার ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আপনার নাকের ডগা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াটা হল পরিচলন। এবার দেখুন এই দুটি জিনিস বুঝে কীভাবে নিজেকে দিব্যি গরম রাখতে পারবেন কনকনে শীতের রাতেও।

    কয়েক স্তরে কাপড় পরুন

    একটা মোটা চাদর বা জ্যাকেট পরার চেয়ে দুটো অপেক্ষাকৃত পাতলা সোয়েটার পরনে শীত কম লাগবে। কারণ এসব স্তর সরাসরি আপনার শরীর থেকে বাইরে। তাপ পরিবহন ও পরিচলনে বাধা দেবে। এছাড়া এই দুটি স্তরের মাঝে আটকে। মার্কা বাতাস ইনসুলেটরের কাজ করে। তাপ ধরে রাখবে আপনার শরীরে।

    কাঁপুনি থামান

    দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন। এতে আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকবে আর শরীর থাকবে গরম। এছাড়া প্রয়োজনমতো পানি পানেও মনোযোগী থাকুন।

    অভ্যাস করে ফেলুন

    বাসার বাইরে শীতের মাঝে অনেকটা সময় কাটাতে হয়। ঠান্ডার প্রতি অভান্ত হয়ে गान। শরীরকে ঠাণ্ডা সহ্য করতে শেখান। শরীর ভিট রাখাটা এরানা জরুরি। কিন্তু বেশি শুকনো হলে আবার সমস্যা। কারণ, শরীরে যথেষ্ট ফ্যাট না থাকলে শীতের মোকাবেলা করা যায় না।

    কাঁপুনি শুরু হওয়া মানেই হল আশপাশে অতিরিক্ত गा, যা আপনার শরীর মোটেই সহ্য করতে পারছে না। আপনার উচিত হবে দ্রুত কোনো গরম জায়গায় চলে যাওয়া। ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাপুনি দেখা দেয়া। কারণ, এর মাধ্যমে শরীর নিজেকে গরম করার চেষ্টা করে। পেশিগুলো কাঁপুনির মাধ্যমে ক্যালোরি। ক্ষয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। কাপুনি নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না মোটেই। কারণ, হাইপোথার্মিয়ার তোপমাত্রা কমে যাওয়া অবস্থায়) মধ্যনতী পর্যায়ে মানুষের শরীর কাঁপুনি থামিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে কাঁপুনিতেও শরীর নিজেকে রক্ষা করাতে পারে না।

    ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করুন

    শরীর যেন নিজেকে গরম রাখতে পারে তার জন্য একে জ্বালানি সরবরাহ করুন। অর্থাৎ মাও থাকা উচিত।

    ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন

    উচ্চ রক্তচাপ নিয়মণের কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো আপনাকে শীতের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া বয়স্ক মানুষরা শীতে বেশি কার হয়ে যান। দুই বছর ব্যাসের কন বয়সী বাচ্চারাও শীতের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। যখন বেশি শীত পড়ে তখন তাদের বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।

    ডা. ইসরাত শর্মী