এমনিতে কিছু নেই, একটু কিছু সমস্যা হল, শেষমেশ বেরোল ক্যানসার। তার ওপর আবার অনেকগুলো স্টেন্স গড়িয়ে গেছে। এমনটা আকছার হচ্ছে। ব্রেস্ট ক্যানসারের কথাই ধরুন। একটু বয়সকালে মেয়েদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায়। ব্রেস্টে কোনও বাদাহীন লাম্প বা মাংসপিণ্ড তৈরি হলে সাবধান হতে হবে। মাে এক বার নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করলেই ব্যাপারটা বেশির ভাগ সময় ধরা যায়। মুশকিল হয় কী, অনেকে ব্যাপারটা টের পেয়োও চেপে যান। তার পর যখন আসেন, তখন অনেকগুলি স্টেজ হয়তো গড়িয়ে গিয়েছে।
শুধু ব্রেস্টই নয়, শরীরের যে কোনও জায়গায় বাধাহীন মাংসপিণ্ড তৈরি হল, অথচ তাতে কোনও অসুবিধে না হলেই সতর্ক হতে হবে। ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড মানেই ক্যানসার নয়। তবে হওয়ার একটা আশঙ্খা থাকে। তাই এ রকম কিছু বুঝলেই দেরি না করে ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে। তাতে আপনিও নিশ্চিন্ত হবেন।
কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে আসতেই ভয় পান অনেকে। কী না কী বেরোবে…।
কিন্তু সত্যিই যদি ক্যানসার হয়, তবে প্রথম অবস্থ পড়লে বেশির ভাগ ক্যানসারই চিকিৎসায় ভাল হয়ে যায়। দেরি করে এলে তো অনেকগুলো স্টেজও গড়িয়ে যায়। তখন চিকিৎসাটা একটু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর ক্যানসারের উপসর্গ কিন্তু আরও অনেক ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রেও হতে পারে। শুধু শুধু দেরি করে আসার কোনও মানেই হয় না।
আর যেসব উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে এবার সে বিষয়ে আসি। ধরুন শরীরের কোথাও আঁচিল, টিউমার হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করল। না তা্র থেকে ব্লিডিং হতে শুরু করল। শরীরের যে কোনও জায়গা থেকে অস্বাভাবিক ব্লিডিং হলে সতর্ক হতে হবে। কোথাও ঘা হল, সেটা কিছুতেই সারছে না। সেটাও দেখিয়ে নিতে হবে। বেশি না সারে, তবে ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন। আবার ৩ থেকে ৬ মাসে যদি ১০-১৫% এজন কমে যায় তবে সেটা দেখিয়ে নেওয়া দরকার। আবার উল্টোটাও হয়। ধরুন কারও হঠাৎ করে ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করল। সে ক্ষেত্রেও ডাক্তার দেখানো দরকার।