শীতকালে বাড়ির বাইরে আরাম খুঁজে পাওয়াটা সহজ নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে বিজ্ঞান! প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে তাপের পরিবহন ও পরিচলন। আপনি যখন ঠাণ্ডা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন তার সংস্পর্শে আপনার পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া হল পরিবহন। আবার ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আপনার নাকের ডগা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াটা হল পরিচলন। এবার দেখুন এই দুটি জিনিস বুঝে কীভাবে নিজেকে দিব্যি গরম রাখতে পারবেন কনকনে শীতের রাতেও।
কয়েক স্তরে কাপড় পরুন
একটা মোটা চাদর বা জ্যাকেট পরার চেয়ে দুটো অপেক্ষাকৃত পাতলা সোয়েটার পরনে শীত কম লাগবে। কারণ এসব স্তর সরাসরি আপনার শরীর থেকে বাইরে। তাপ পরিবহন ও পরিচলনে বাধা দেবে। এছাড়া এই দুটি স্তরের মাঝে আটকে। মার্কা বাতাস ইনসুলেটরের কাজ করে। তাপ ধরে রাখবে আপনার শরীরে।
কাঁপুনি থামান
দাওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন। এতে আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকবে আর শরীর থাকবে গরম। এছাড়া প্রয়োজনমতো পানি পানেও মনোযোগী থাকুন।
অভ্যাস করে ফেলুন
বাসার বাইরে শীতের মাঝে অনেকটা সময় কাটাতে হয়। ঠান্ডার প্রতি অভান্ত হয়ে गान। শরীরকে ঠাণ্ডা সহ্য করতে শেখান। শরীর ভিট রাখাটা এরানা জরুরি। কিন্তু বেশি শুকনো হলে আবার সমস্যা। কারণ, শরীরে যথেষ্ট ফ্যাট না থাকলে শীতের মোকাবেলা করা যায় না।
কাঁপুনি শুরু হওয়া মানেই হল আশপাশে অতিরিক্ত गा, যা আপনার শরীর মোটেই সহ্য করতে পারছে না। আপনার উচিত হবে দ্রুত কোনো গরম জায়গায় চলে যাওয়া। ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাপুনি দেখা দেয়া। কারণ, এর মাধ্যমে শরীর নিজেকে গরম করার চেষ্টা করে। পেশিগুলো কাঁপুনির মাধ্যমে ক্যালোরি। ক্ষয় করে এবং তাপ উৎপাদন করে। কাপুনি নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না মোটেই। কারণ, হাইপোথার্মিয়ার তোপমাত্রা কমে যাওয়া অবস্থায়) মধ্যনতী পর্যায়ে মানুষের শরীর কাঁপুনি থামিয়ে দেয়। এ পর্যায়ে কাঁপুনিতেও শরীর নিজেকে রক্ষা করাতে পারে না।
ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করুন
শরীর যেন নিজেকে গরম রাখতে পারে তার জন্য একে জ্বালানি সরবরাহ করুন। অর্থাৎ মাও থাকা উচিত।
ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়মণের কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো আপনাকে শীতের প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। এছাড়া বয়স্ক মানুষরা শীতে বেশি কার হয়ে যান। দুই বছর ব্যাসের কন বয়সী বাচ্চারাও শীতের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। যখন বেশি শীত পড়ে তখন তাদের বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।
ডা. ইসরাত শর্মী