ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রো-ভিসি) হিসেবে সম্প্রতি যোগদান করেছেন প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলরের (ভিসি) দায়িত্বও পালন করছেন তিনি। সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণা, শিক্ষকতা, কারিকুলাম ডিজাইন, কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এবং একাডেমিক লিডারশিপে ৩৮ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। প্রফেসর মাহফুজুল আজিজের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সেখানে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান এবং ভারপ্রাপ্ত ডিনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৯৯ সালে ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় যোগদানের আগে, প্রফেসর মাহফুজুল আজিজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) একটি নেটওয়ার্কড মাল্টি অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন ল্যাব প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেন, যা বাংলাদেশে প্রথম। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় শিক্ষা পুরস্কার কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও ১৯৯৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিনে ভিজিটিং স্কলার, ২০০৬ সালে ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সে ইনভাইটেড প্রফেসর এবং ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর আজিজ। তিনি আইইইই এর একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং ইঞ্জিনিয়ার্স অস্ট্রেলিয়ার একজন সদস্য।

প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট থেকে ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি এবং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি থেকে গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট ইন হায়ার এডুকেশন অর্জন করেন।

স্নাতক ডিগ্রি শেষে ১৯৮৫-৮৬ সালে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন সেখানে তিনি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বাংলাদেশে সিঙ্গেল বোর্ড কম্পিউটার্স এবং এমবেডেড সিস্টেমের প্রথম ব্যাচের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৮০টিরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধের রচয়িতা। ডিজিটাল সিস্টেমস অ্যান্ড এমবেডেড প্রসেসর্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইন, লো পাওয়ার ওয়্যারলেস সেন্সরস, বায়োমেডিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টেশন এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নির্ভর নবায়নযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে নানা গবেষণা করেছেন তিনি। 

প্রফেসর আজিজ উচ্চ শিক্ষায় নেতৃত্ব প্রদান এবং তার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিত্তাকর্ষক শিক্ষা পদ্ধতির জন্য ব্যাপক সমাদৃত। তিনি ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটি টিচার অফ দ্যা ইয়ার হিসেবে প্রাইম মিনিস্টার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
courtesy :the daily campus