ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিজিওনাল সিম্পোজিয়াম অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক সামিট ২০২৩ অন পপুলেশন হেলথ ইনফরম্যাটিকস’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১ মার্চ ঢাকায় ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্কের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড হেলথ পলিসির যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন অধ্যাপক সাবিনা ফয়েজ রশিদ এবং সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড হেলথ পলিসির ডিন আয়মান এল-মোহানদেস। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিট প্রধান শাহ আলী আকবর আশরাফী। 

অতঃপর বাংলাদেশে হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। এই অঞ্চলে পপুলেশন হেলথ ইনফরম্যাটিকসের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন মেমফিস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ডিন অধ্যাপক আশিস জোশি।

কনফারেন্সে পপুলেশন হেলথ ইনফরম্যাটিকস বিষয়ক একটি আঞ্চলিক হাবের উদ্বোধন করা হয়। ‘রিজিওনাল কনসোর্টিয়াম অব পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম বছরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এর সহযোগী অধ্যাপক ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর আরবান ইকুইটি অ্যান্ড হেলথের সহপরিচালক মোহাম্মদ তানভীর হাসান এবং ওয়েইল কর্নেল মেডিসিনের বায়োমেডিক্যাল ইনফরম্যাটিকস বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ও অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম পরিচালক হোজে এফ ফ্লোরেজ-আরাঙ্গো। 

কনফারেন্সে ভারত, নেপাল, মায়ানমার, সিংগাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদগণ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউ ইয়র্ক গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড হেলথ পলিসি পরিচালিত পপুলেশন হেলথ ইনফরম্যাটিকস এক্সিকিউটিভ সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। 

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বক্তব্য শেষে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।