ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের নতুন ডিন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। আগামী দুই বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি সদ্যবিদায়ী ডিন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ. এ. এন. এম. এরশাদ উল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
রবিবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ নভেম্বর অধ্যাপক ড. এইচ. এ. এন. এম. এরশাদ উল্লাহর ডিন হিসেবে দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়। ফলে ৩ নভেম্বর একই বিভাগের অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমানকে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ১৯৮০ এর (সংশোধিত ২০১০) ২৪(৩) ধারা অনুযায়ী তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় বিদায়ী ডিন এরশাদ উল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী বলেন, ধর্মতত্ত্ব অনুষদ দিয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মই হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের নামে আলাদা একাডেমিক ভবন থাকলেও এ অনুষদের নামে কোনো একাডেমিক ভবন নেই। তাই স্বকীয়তা বজায় রেখে এ অনুষদের নামে আলাদা একটি একাডেমিক ভবনের প্রত্যাশা রয়েছে। এ বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানাবো। এছাড়া এই অনুষদের সকল সংকট ও অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহকে সেশনজট মুক্ত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এছাড়া অনুষদটিকে স্মার্ট অনুষদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাবেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে একাধারে তিনি বিভাগের সভাপতি, ইবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হল প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি গবেষণাতেও তাঁর অনন্য অবদান রয়েছে। এ পর্যন্ত তার ৪০টি গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এ দিকে সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে পবিত্র ওমরাহ ব্রত পালন করারও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
the daily campus