গরমে অনেকেরই খেতে ইচ্ছা করে না। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা খেতে বেশি অনীহা প্রকাশ করে। সকালের নাশতা বাদ দিলে শরীর আরও বেশি খারাপ হয়। আবার নাশতা হিসেবেও এমন জিনিস বেছে নিতে হবে, যা গরমে খেতে ভালো লাগে।
সকাল বা বিকেলের নাশতার অন্যতম অনুষঙ্গ চা বা কফি। এতে গরম বা ঘাম আরও বাড়ে। ঠান্ডা কিছু বেছে নেওয়া ভালো। সকালের নাশতায় চা বা কফির বদলে ফলের রস, দইয়ের লাচ্ছি রাখা যায়। খেতে পারেন তাজা ফলমূল, যেগুলোতে জলীয় অংশ বেশি থাকে।
আঁশযুক্ত বা ফাইবার–জাতীয় খাবার সুস্থতার জন্য জরুরি। তবে বেশি আঁশযুক্ত খাবার অনেকেই এই গরমে হজম করতে পারেন না। যেমন ওটস, দুধ, ভুসিসহ আটার রুটি ইত্যাদি।
গরমের সময়ের সঠিক নাশতা হলো নরম ও সহজপাচ্য খাবার। যেমন নরম ভাত, পান্তা ভাত, চিড়া–দই, সাগুদানা, সুজি, আটার পাতলা
রুটি ইত্যাদি।
প্রোটিন হিসেবে এই গরমে দুধের চেয়ে ছানা বা দই ভালো।
সেদ্ধ ডিমও আপনার নাশতায় রাখতে পারেন। যাঁদের রুটি দিয়ে ডাল খাওয়ার অভ্যাস, তাঁরা এই গরমে সকালের নাশতায় ডাল এড়িয়ে চলুন। ডাল অনেক সময় হজমে সমস্যা করে, বিশেষ করে বুট বা ছোলার ডাল।
সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হলেও সকালে বেশি সবজি খেলে অনেকের হজমে সমস্যা হয়। তাই গরমের সকালে পেঁপে, চালকুমড়া, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ইত্যাদি নরম ও সহজপাচ্য সবজি খাওয়া ভালো।
চর্বিযুক্ত খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। ডিমের অমলেট, পরোটা, লুচি, মোগলাই ইত্যাদি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখুন এ সময়।
টাটকা ফলের জুস বা স্মুদি গরমে উপকারী। মাঠা বা ঘোল ঘরে বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পাকা নরম ফল খেতে পারেন। পেঁপে, বাঙ্গি, কলা, আম ইত্যাদিও সকালের ফল হিসেবে ভালো।
মধ্যসকালে টক ফল বা টক ফলের জুস খেতে পারেন। সকালের নাশতার পর পানীয় হিসেবে বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি বা ঘরে বানানো ফলের জুস সবচেয়ে ভালো।
শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নাশতা তৈরির চেষ্টা করুন। আলুর চাট, চটপটি, সবজি নুডলস দিতে পারেন বিকেলে। বাইরের ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার থেকে শিশুদের দূরে রাখবেন।