জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে মার্শাল আর্ট ক্লাব। তার ধারাবাহিকতায় ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি ফ্রী সেশন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেশনটির পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর কথা রয়েছে ক্লাবটির৷ 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘মার্শাল আর্ট ক্লাব’ নামের একটি গ্রুপ খুলে সেখানে ফ্রী সেশনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে ৷ আগামী ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় নির্ধারিত জায়গাতে সেশনটি শুরু হবে ৷ যা চলবে সপ্তাহব্যাপী। 

ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী এই সেশনটিতে যুক্ত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা মার্শাল আর্ট ক্লাবটির ফাউন্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এম কে মারুফের যিনি প্রায় ৮ বছর ধরে কিক বক্সিংয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন। 

মারুফ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকেই স্বপ্ন দেখছিলেন কিভাবে একটি মার্শাল আর্ট ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা যায়। স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি ৷ বিগত প্রায় ৬-৭ মাস ধরে ক্লাবটির প্রতিষ্ঠায় কাজ করেন মারুফ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করেছেন এই শিক্ষার্থী। অবশেষে মার্শাল আর্ট ক্লাবটির প্রাথমিক যাত্রার অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৷ ফ্রী সেশন অনুষ্ঠিত হবার পরই ক্লাবটির ভবিষ্যত অগ্রযাত্রা স্পষ্ট হবে। 

এম কে মারুফ বলেন, আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি মার্শাল আর্ট ক্লাব প্রতিষ্ঠার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছি শুরু থেকেই। মার্শাল আর্ট ক্লাবটির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ফ্রী সেশনটির পরই দেওয়া হবে৷ তখন একটি কমিটি গঠন করা হবে ক্লাবটি পরিচালনার জন্য। 

তিনি বলেন, মার্শাল আর্ট ক্লাবটির মাধ্যমে আমার ভাই-বোনেরা যখন নিজেদের স্বাস্থ্য এবং আত্মরক্ষা নিয়ে সচেতন হবে তখনই আমি আনন্দিত হবো। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়ও তারা সাফল্য অর্জন করবে। যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বারবার উঠে আসবে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে একটি আবেদন করেছিল মার্শাল আর্ট ক্লাবের জন্য ৷ ক্লাবের পক্ষ থেকে সপ্তাহব্যাপী একটি ফ্রী সেশন অনুষ্ঠিত হবে ৷ এরপর ভিসি স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে মার্শাল আর্ট ক্লাবটির চূড়ান্ত যাত্রা শুরু হবে৷ 

প্রসঙ্গত, বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে সুরক্ষা দিতে আর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেকেই শিখছেন মার্শাল আর্ট। মার্শাল আর্টের আছে বেশ কয়েকটি ধরন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কারাতে, কুংফু, জুডো ও জুজুৎসু। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রম সমৃদ্ধকরণ এবং সাংস্কৃতিক-সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় মোট ২০টি নিবন্ধনকৃত সংগঠন রয়েছে ৷ তবে মার্শাল আর্ট ক্লাবটি  আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলে এটিই হবে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আত্মরক্ষামূলক প্রথম কোন সংগঠন।
the daily campus