নারী নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে দেশের নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশের খালেদ মোশাররফ ট্রাস্ট ও ভারতের ইন্দ্রানি বালান ফাউন্ডেশন। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) রিসার্চ বিল্ডিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৫০ জন ছাত্রীকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগামীকাল বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) আরও ৫০ জন নারী শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইউল্যাবে ‘নির্ভয়: নারী নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক এ কর্মসূচিশেষে আজ অংশগ্রহণকারীদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদেরকে আরও সাহসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
প্রশিক্ষণে মানবদেহের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা কৌশল শেখানো হয়। কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে বডি টুলস, বডি কন্ডিশনিং, স্ট্রাইকিং, কিকবক্সিং কম্বিনেশনস। এছাড়া প্রতিদিন সঙ্গে রাখা প্রয়োজন এমন বস্তু এবং নিজের আশপাশ দেখে কী ধরণের প্রস্তুতি নিতে হবে সেগুলো সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাবেক সংসদ সদস্য ও খালেদ মোশাররফ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদের সঞ্চালনায় সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত এখিম ট্রস্টার; ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান, মেজর জেনারেল তাওহীদ রহমান বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, এমডিএস, এমএসসি, এমপিসিএইচআরএস, এলএলবি (আর), জিবিআই সভাপতি, এলএলসি; বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার এসপি (অভ্যন্তরীণ বিষয়ক) মাহফুজা লিজা বিপিএম, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাহানারা আলম।
সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরে এতো মিথ্যাচার করা হয়েছে যে দুটি প্রজন্মকে মিথ্যা শিক্ষা দিয়ে বড় করা হয়েছে। সত্যিকার ইতিহাস শিখে বড় রাখতে হবে। নইলে যাই করি না কেন সব কিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ ভোটার নারী। নারীরা এখন সবক্ষেত্রে ভালো করছে। আগামী প্রজন্মকে আরও সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত এখিম ট্রস্টার বলেন, পশ্চিমা দেশগুলিতে, আমাদের এখনও একটি ঐতিহ্যগত পারিবারিক প্রথা চালু আছে। এখন জার্মানিতে একজন নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও একজন নারী উন্নয়নমন্ত্রী রয়েছেন। দুই সাপ্তাহ আগে আমরা নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের জন্য একটি নতুন ধারণা নারী পররাষ্ট্রনীতি এবং নারী উন্নয়ন নীতি তৈরি করেছি আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে সেখানকার সমস্ত মহিলা নিরাপদ।
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, আমি এমন দেশের নাগরিক হতে চাই না যে দেশে আমাকে নিরাপত্তার জন্য কৌশল শিখতে হবে এবং তা প্রয়োগও করতে হবে। এমন দেশের নাগরিক হয়ে আমি লজ্জিত। কারণ রাষ্ট্রকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিরাপত্তা দিতে হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবীন খালেদ জানান প্রথম পর্যায়ে যাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্য থেকে বাঁচাই করে কয়েকজনকে ভারতে উন্নত প্রশিক্ষণে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে। যাতে তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও একই প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। আমরা আমাদের কাজকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
courtesy and collected from: the daily campus