Loading...
Blogs

Do's and Don'ts to keep in mind as a fresher


23 February 2023   ||  1 year ago
Education

Rashed Mosarof Chowdhury
Head Of HR , Dabur Bangladesh

Congratulations on starting your university journey! Here are some general do's and don'ts to keep in mind as you navigate this exciting new chapter in your life:

Do's:

Attend your classes and pay attention to your professors. Taking good notes, asking questions, and participating in class discussions can help you better understand the material and improve your grades.
Create a study schedule and stick to it. Manage your time wisely to avoid cramming for exams or rushing to complete assignments at the last minute.
Get involved in extracurricular activities that interest you. Joining clubs, organizations, or sports teams can help you meet new people and develop skills outside of the classroom.
Take advantage of university resources such as the library, tutoring services, and career center. These resources are there to help you succeed, so don't hesitate to use them.
Practice self-care by getting enough sleep, eating healthy, and exercising regularly. Taking care of yourself can help reduce stress and improve your overall well-being.

Don'ts:

Procrastinate on assignments or wait until the last minute to study for exams. This can lead to unnecessary stress and lower grades.
Skip classes or be consistently late. Regular attendance is important for understanding the material and building a good relationship with your professors.
Overcommit yourself by joining too many extracurricular activities or taking on too many responsibilities. Remember to prioritize your academic work and balance your time accordingly.
Be afraid to ask for help if you're struggling with coursework or adjusting to university life. There are many resources available to support you, so don't hesitate to reach out.
Engage in risky or dangerous behavior such as binge drinking, drug use, or unsafe sexual practices. These behaviors can harm your health and potentially jeopardize your academic success.

Read more of this blogger
  • Economy

    করোনা পরবর্তী অর্থনীতি ও বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ

    একটি দেশের অর্থনীতি কেমন হবে সেটি কেবল অর্থনৈতিক সূচক নয়; আর্থিক কাঠামো, আয় কাঠামো, সম্পত্তি কাঠামো, পরিবার কাঠামো, জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য, মানুষের আচরণ এবং তাদের পেশার উপর নির্ভর করে।

    বাংলাদেশের করোনাকালীন অর্থনীতির অবস্থা ভালো নাকি মন্দ- এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে সবাই যে অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে বলেন, তা নয়; রাজনৈতিক গবেষণায় দেখা যায়, নৈরাশ্যবাদী কথার এক বিরাট ভোক্তা আছে। তাই এই নৈরাশ্যবাদী কথা প্রচারের বিরাট এজেন্টও আছে। চাহিদা থাকলে জোগান থাকবেই। 

    যাই হোক, একজন লোক অসুস্থ হলে যা হয়, তেমনি অর্থনীতি যদি কোনো অসুখে পড়ে, তাহলে তার আকার কমে যাবে, আগের চেয়ে দুর্বল হবে, চলার গতি কমে যাবে- এটিও স্বাভাবিক।

    বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মোটা দাগে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো এর কৃষি খাত, আর অন্যটি হলো এর অকৃষি খাত। কৃষি খাতকে বলা যায় ভিত্তি কাঠামো এবং অকৃষি খাতকে বলা যায় উপরি কাঠামো।

     

    কৃষি খাতের অবস্থা কী? কৃষি খাতে প্রধান দুটি ফসল ধান ও গম উৎপাদন ব্যাহত হয়নি, বরং তা ভালোই উৎপাদন হয়েছে। আবার অন্যদিকে করোনার মধ্যে কিছু ক্ষেত্র যেমন- দুধ উৎপাদন, হাঁস-মুরগির খামার, ফুল চাষ, সবজির মূল্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মোট কৃষি খাতের ৩-৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ জিডিপির তথ্যে দেখা যায়, কৃষি খাতের অবদান ১৩.০৭ শতাংশ, শিল্প খাতে ২৮.৫৪ শতাংশ এবং পরিষেবা খাতে ৫২.৯৬ শতাংশ।

    প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষি খাতের অবদান এত কম হওয়া সত্ত্বেও এটিকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কী কারণ আছে? তার অনেক কারণ আছে, যেমন- সম্প্রতি পেঁয়াজের সরবরাহ ঘাটতির সময় এমনভাবে বাজার অস্থিতিশীল করা হয় যা দিয়ে দেশে একটি হাহাকার তৈরি করার চেষ্টা করা হয়। সেখানে যদি চাল-আটার সামান্য সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়, তাহলে আমাদের 'চৌকস' ব্যবসায়ীরাসহ এক শ্রেণির মানুষ মিলে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুর্ভিক্ষ তৈরি করার একটি সফল অভিযান শুরু করবে। আবার শিল্প খাত যদিও মোট জিডিপির ২৮.৫৪ শতাংশ; কিন্তু সে ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৩০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ উৎপাদন অব্যাহত ছিল। যেমন- ওষুধ শিল্প উৎপাদন এবং ব্যবসার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে বেশি অগ্রগামী ছিল। তবে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে পড়েছে পরিষেবা খাত।

    তবে এই খাতের আবার সব ক্ষেত্র এক রকম হয়নি। যেমন হাসপাতাল খাত প্রচুর ব্যবসা করেছে, আবার অনেক ডাক্তার চেম্বারেও বসেননি। আবার বিক্রয়-বিপণন খাতের মধ্যে এক অংশ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এবং সে খাত বেশ ভালোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুদি দোকানের মতো প্রতিষ্ঠান কিছুটা ব্যবসা করেছে। আবার শহর এলাকায় এটি প্রধান ব্যবসা না হলেও গ্রাম এলাকায় এ ব্যবসাই প্রধান। অর্থাৎ শহরে দোকান খাতের ১৫ শতাংশ ব্যবসা করেছে। তৈরি শিল্প, স্পিনিং এবং টেক্সটাইল, চা শিল্প, পাট শিল্প, চামড়া, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন খাত সীমিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে এসব শিল্পের ওপর নির্ভরশীল উপখাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    প্রশ্ন হচ্ছে- বাংলাদেশের অর্থনীতির অতি ক্ষুদ্র অংশ যদি কৃষি খাত হয়, তাহলে তার স্বাস্থ্য দিয়ে কি গোটা অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করা ঠিক? এ খাতে মোট কর্মসংস্থান হয় ৩৮ শতাংশ। দেশের খাদ্য উৎপাদন ইনডেক্স হচ্ছে ১৪৫, অর্থাৎ জমির তুলনায় প্রায় দেড় গুণ। ইতোমধ্যে অনেক অর্থকরী ফসল যেমন- কমলা, মালটা পর্যন্ত দেশে চাষ শুরু হয়েছে। তাই দেশের কৃষি খাত যতই ক্ষুদ্র হোক না কেন, তা হচ্ছে খোরাকি অর্থনীতি। এখনও মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ বাদ দিলে আর বাকি সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ খাত দ্বারা উপকৃত হয়। তারচেয়ে বড় কথা, এই স্থায়ী সম্পদ থাকার কারণে মানুষ অনেক বেশি আর্থিকভাবে নিরাপদ মনে করে।

    দ্বিতীয়ত, দেশের প্রায় সাড়ে ৩ দশমিক ৫ কোটির মধ্যে এক কোটি পরিবার প্রত্যক্ষভাবে রেমিট্যান্সের আওতায় রয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৭-৮ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরেছে। এরা যে সবাই কপর্দকহীন হয়ে এসেছে- এ কথা বলা যাবে না। রেমিট্যান্সের প্রবাহ তুলনামূলক এখনও বেশ ভালো আছে যা তাদের পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা দিচ্ছে। যেমন- এপ্রিল মাসে আমি বলেছি, রপ্তানি কমলে আমদানি তারচেয়েও বেশি কমবে। ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৩৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। রেমিট্যান্স কমার কথা প্রথমে পত্রিকাগুলো যেভাবে আশঙ্কা করেছে, সেভাবে ঘটেনি।

    বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা আভাস দিয়েছে- এ বছর প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশের বেশি হবে না। যদি তাই হয় মন্দ কি, এটি মাইনাস না হলেই ভালো। তাহলে বড় সংখ্যক ব্যক্তির অবস্থা তেমন খারাপ হবে না। তবে এটা সত্য যে, সব মানুষ একধরনের প্রভাবে পড়বে না। দেশে অসংখ্য ক্ষুদ্র পেশাদার গোষ্ঠী রয়েছে (মোট পেশার সংখ্যা তিনশ'র বেশি) যারা নিঃসন্দেহে আর্থিক সংকটে আছে।

    দেশের অর্থনীতিতে ভোক্তা ব্যয় হচ্ছে ৬৯ শতাংশ, যার মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ সচল রয়েছে। শহরে বসবাসরত প্রায় ২০-২৫ শতাংশ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাইরে তাদের কেনাকাটা কিছুটা কমিয়ে হলেও অব্যাহত রেখেছে। আবার গ্রাম এলাকার মানুষেরও আয়-রোজগার কমে যাওয়ার কারণে হয়তো আগের মতো ততটা ক্রয় করছে না। কিন্তু একেবারে বন্ধ করার কোনো জো নেই।

    বাংলাদেশের মানুষের একটি দুর্নাম আছে- তারা ঋণ করে হলেও ঘি খায়, যা সংকটকালীন অর্থনীতির জন্য আবার ইতিবাচক একটি দিক।

    এ করোনাকালে জুন মাসের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ৬০ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসের শেষে ৭০ শতাংশ (বর্ষার কারণে), ডিসেম্বর মাসে গিয়ে ৮৫-৯০ শতাংশ সক্রিয় হবে বলে আশা করা যায়। আমাদের দেশের দুটি বড় সামাজিক সম্পদ আছে, যার একটি হচ্ছে মানুষ যারা করোনাকে ভয় পেয়ে ভড়কে যায়নি, সবকিছু বন্ধ করে দেয়নি; বরং সরকার চেষ্টা করেও তাদের কর্মচাঞ্চল্য বন্ধ করতে পারছে না। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, এখানে মানুষ খরচ করে। ভারতের যেমন প্রধান সমস্যা হচ্ছে মদপান এবং খরচ না করা; আমাদের দেশে তা নেই। তাই এ অর্থনীতি চাঙ্গা হবেই।

    বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি সবল অর্থনীতি বলে ধরে নিয়েছে 'ইকোনমিস্ট'সহ বিভিন্ন গোষ্ঠী। তা মূলত বাংলাদেশের মানুষের আয় এবং ব্যয়ের ধরনের কারণে।

    করোনা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে বর্ষা মৌসুম শেষে অক্টোবরের পর আবার উন্নয়ন খাতের কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হবে। উন্নয়ন বাজেটের ব্যয়, বিশেষ প্রণোদনার টাকা, করোনার জন্য বিশেষ বরাদ্দ, দাতা সংস্থার অতিরিক্ত বরাদ্দ, নভেম্বর মাসে ধান কাটা, বিভিন্ন উপরি পাওনার টাকা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন রকমের আয়, বর্ধিত রেমিট্যান্স (আশা করা যায় ওই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে) ইত্যাদির টাকা চলে যাবে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মানুষের হাতে। বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা তখন আবার বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা ভাব থাকলে বাংলাদেশ তার সুবিধা পাবে। কারণ তখন কম দামি পণ্যের চাহিদা উন্নত বিশ্বে আরও বাড়বে।

    বিভিন্ন শঙ্কা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহকে মোকাবেলা করার পাশাপাশি নিন্মোক্ত সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হলো:

    রেমিট্যান্সে রেকর্ড

    করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও প্রবাসীরা আগের যে কোসঘ সময়ের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুলাইতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এই হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের মতো।

    একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।

    নতুন উচ্চতায় রিজার্ভ

    রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন ডলারের সবোর্চ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

    গত ৩০ জুন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন ডলার।

    ইতিবাচক ধারায় রপ্তানি আয়

    নতুন অর্থবছরের শুরুতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪৪ কেটি ৯০ লাখ ডলার। অথচ এই খাতে আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 

    একই সঙ্গে অর্জিত রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৮৮ কোটি মার্কিন ডলার।

    বাড়ছে আমদানি

    করোনার মধ্যেও আমদানিতে ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুন মাসে আমদানিতে প্রায় ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও গত অর্থবছরে আমদানি কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ।

    পুঁজিবাজারে লেনদেনে উন্নতি

    দীর্ঘদিন ধরে নিস্তেজ পুঁজিবাজারেও গতি ফিরেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) জুন মাসের চেয়ে জুলাইয়ে শেয়ার লেনদেন বেড়েছে। বেড়েছে নতুন বিনিয়োগও। জুন মাসে চার হাজার ৭৮০ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া জুলাই মাসে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার কোটি টাকা। আর মূলধন বেড়েছে ১৩ হাজার ৭৬৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সূচক বেড়েছে ২২৫ পয়েন্ট।

    কৃষি ও সেবা খাত

    করোনাকালে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রেখে চলেছে কৃষি। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১৫.৪৪ শতাংশ অবদান কৃষি ও সেবা খাতের। কর্মসংস্থানেও বড় ভূমিকা রাখছে খাতটি। আয় কমে যাওয়ায় শহরত্যাগী মানুষগুলোকেও ধারণ করেছে গ্রামীণ অর্থনীতি।

    উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর দেয় সরকার। এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে দফায় দফায় বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি চলে। জরুরি সেবা, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিং মল খুলে দেওয়া হয়। 

    এরপর গণপরিবহনও চালু করা হয়। সর্বশেষ ঈদুল আজহার আগে দোকানপাট ও বিপণিবিতান রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

    সব শেষে, এটাই বলা যেতে পারে যে, একটি দেশের অর্থনীতি কেমন হবে সেটি কেবল অর্থনৈতিক সূচক নয়; আর্থিক কাঠামো, আয় কাঠামো, সম্পত্তি কাঠামো, পরিবার কাঠামো, জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য, মানুষের আচরণ এবং তাদের পেশার উপর নির্ভর করে। চায়ের দোকান বা আড্ডাস্থলে অর্থনীতির আলোচনাকে কখনো বেগবান বা স্থিতিশীল করবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতা ও বিচক্ষণতায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাজে সবাই সরব রয়েছেন।


    • লেখক: হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডাবর বাংলাদেশ

  • Career

    মহামারিতে আর্থিক সঙ্কট : উত্তরণের সাতকাহন

    স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও ফিরে আসা প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার বিষয়ে গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে গবেষকদের মতামত। সাধারণত সরকার যেসব কারিগরি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে আসছে তার বাইরেও এখন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া দেওয়া জরুরি। কারণ দেশ ও বিদেশে এখন প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী। এজন্য গবেষণায় বলা হয়, যেসব প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিলে নতুন কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি হবে।

    যাঁরা পড়াশোনা শেষ করে নতুন চাকরির বাজারে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন কিংবা যাঁরা চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন তাঁরা নিচের ৭টি বিষয় মাথায় রাখলে ও চর্চা করলে চাকরির প্রতিযোগিতায় নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবেন।

    ১. অনলাইন কোর্স করা

    বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেকেই বাসায় অবস্থান করছেন। যায় ফলে হাতে পাওয়া গেছে বাড়তি অনেকটা সময়। এই বাড়তি সময়টাকে নিজের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে কাজে লাগাতে পারেন। করে নিতে পারেন বিভিন্ন অনলাইন কোর্স। ইউডেমি, কোর্সেরাসহ অনেক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রি অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স অফার করে। তা ছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু পেইড অনলাইন কোর্সও ফ্রিতে করার সুযোগ মিলছে। আর যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে চান তাঁরা ফেসবুক ব্লুপ্রিন্ট ও গুগলের বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স করে নিতে পারেন। এই সার্টিফিকেটগুলো প্রমাণ করবে আপনি বিষয়গুলো জানেন।

    ২. ইংরেজি ভাষার চর্চা 

    চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির অনেকটা নির্ভর করে ভালো ইংরেজি জানা ও তার সঠিক ব্যবহারের ওপর। বিশেষ করে যাঁরা বড় প্রতিষ্ঠানে বা মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাঁদের তো ভালো ইংরেজি জানার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি বলতে পারা, লিখতে পারা, পড়তে পারা ও বুঝতে পারা সব দিকেই জোর দিতে হবে। তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে যে আপনি যতই ইংরেজি শিক্ষার সার্টিফিকেট অর্জন করেন না কেন, তা কোনো কাজে আসবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তা আপনার ব্যবহারিক কাজে প্রয়োগ করতে পারবেন। ইংরেজি শিখতে বইয়ের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যম যেমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটিউবের সাহায্যও নিতে পারেন। তাই ভুলভ্রান্তি হলেও চর্চা শুরু করুন এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ান।

    ৩. আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র সিভি তৈরি: 
    একটি সিভি একজন চাকরিপ্রত্যাশীর প্রথম পরিচয়। যেখানে একটি পদের জন্য শত শত সিভি জমা পড়ে, সেখানে আপনার সিভিটি আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র না হলে তা শর্টলিস্টেড হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। আর সিভি শর্টলিস্টেড না হলে ইন্টারভিউয়ের ডাকও পাওয়া যাবে না। অনেকেই যেই ভুলটি করেন যে কারও কাছ থেকে একটি সিভির ফরমেট জোগাড় করে তাতে কোনোরকম পরিবর্তন না করে শুধু নিজের তথ্য দিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু একজন মানবসম্পদ কর্মকর্তা প্রতিদিন শত শত সিভি দেখেন। তার কাছে একটি কপি করা সিভি গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে। তাই নিজের আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র সিভি তৈরি করে চাকরির জন্য আবেদন করুন। 

    ৪. চাকরির ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি: 
    এখনই চাকরির ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারেন। চাকরির ইন্টারভিউতে সাধারণত দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। সাধারণ প্রশ্ন (যেমন নিজের সম্পর্কে বলা, নিজের শখ, নিজের ৫টি গুণ ও দোষ বলা, অবসরে করা কাজ ইত্যাদি) ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন। ইন্টারনেটে চাকরির ইন্টারভিউয়ের বিভিন্ন প্রশ্ন ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তার কীভাবে উত্তর দেবেন সে সম্পর্কে অনেক লেখা পাওয়া যায়। সেগুলো চর্চা করতে পারেন। আর আপনার যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির ইন্টারভিউয়ের ডাক আসবে তখন সম্ভব হলে ওই প্রতিষ্ঠানে আগে ইন্টারভিউ দিয়েছেন এমন কারও কাছ থেকে তার অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করুন। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। আবেদন করার সময় চাকরির সার্কুলারটি সংরক্ষণ করুন। ওখানে যে কাজের বর্ণনা দেওয়া থাকে, তা ভালোভাবে পড়ে প্রস্তুতি নিন। আর ইন্টারভিউয়ের পোশাকের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকুন।

    ৫. চমৎকার প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারা:
    ভালো প্রতিষ্ঠানের ভালো পদে চাকরি পেতে হলে আপনাকে একাধিক ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। এমনকি দিতে হতে পারে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনও। তা ছাড়া যেকোনো পেশার যেকোনো চাকরির বিভিন্ন পর্যায়ে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তাই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চোখধাঁধানো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে শিখুন।

    ৬. লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: 
    লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে শুধু একটি বিষয়ে ভালো প্রস্তুতির বদলে পরীক্ষায় আসা সব বিষয়ের প্রস্তুতি নিন। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচিত হতে হলে প্রতিটি বিষয়ে সর্বনিম্ন পাস নম্বর পাওয়া লাগে। লিখিত পরীক্ষায় সময় ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিন। কম সময়ে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবেন, তা আগে সমাধান করুন।

    ৭. চাকরির সাধারণ স্কিলগুলো তৈরি করা:
    করোনা–পরবর্তী সময়ে চাকরি পাওয়ার লড়াই যেমন কঠিন হবে, চাকরিতে টিকে থাকার লড়াইও কঠিন হবে। তাই চাকরির সাধারণ স্কিলগুলো তৈরি করুন। এগুলোর মধ্যে আছে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্টের কাজ ভালো জানা, ভালো রিপোর্ট তৈরি করতে পারা, সঠিকভাবে ই–মেইল করতে পারা ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন সফট স্কিলের চর্চা করুন।

    করোনাভাইরাস পরবর্তী পেশাগত জীবনে নিজেকে এগিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ফ্রেশারসদের জন্য যেমন একটা বেঞ্চমার্ক থাকে। ঠিক তেমনি যারা বিভিন্ন বেসরকারী কর্মক্ষেত্র থেকে ছাঁটাই হয়েছে তাদেরও মানসিকভাবে দৃঢ় ও নিন্মলিখত জ্ঞানসমূহ এই সময়ে আয়ত্ত করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতক মন্দা চলবে সেক্ষেত্রে নিজেদেরকে খাপ খাওয়ানো এবং নতুন পেশায় নিজেকে প্রবেশের দ্বারকে উন্মুক্ত রাখতে নিন্মলিখিত জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানো অনেক বেশি প্রয়োজন। 

    প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও ব্যবহার বাড়ানো:
    কারোনোভাইরাস পরবর্তী বিশ্বের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করা। কোভিড-১৯ মহামারি সংস্থা বা অফিসগুলোতে নানাবিধ ডিজিটাল রূপান্তর ঘটবে। বাস্তবতাটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংস, ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং রোবোটিকসের ব্যবসাগুলোই ভবিষ্যৎ। আর মহামারির কারণে এই প্রযুক্তিগুলো কাজে লাগাতে পারলে সেই প্রতিষ্ঠান বা অফিস দুর্দান্ত অবস্থানে থাকবে। করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে কেউ কোনোও কারখানায়, প্রতিষ্ঠান বা অ্যাকাউন্টিং অফিসে কাজ করেন তবে এসব প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলোর সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি সেগুলো কার্যকরভাবে করতে সক্ষম হওয়া প্রয়োজন।

    সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন:
    কোভিড মহামারি সময়ে সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের গুরুত্ব আমরা ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছি। কার্যত পরিষেবাগুলোর সরবরাহ কীভাবে সচল রাখা হয়েছিল সে উপায় বের করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যসেবাসহ অনেক ব্যবসা ভার্চ্যুয়াল করা হয়েছে। নতুন প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর সরবরাহ হয়েছে। যেমন, মার্সিডিজ এফ ওয়ান-এর রেসিং গাড়িগুলোর কারখানা শ্বাসযন্ত্র সচল রাখার সরঞ্জামগুলো সরবরাহ করেছে। আর করোনা উত্তর বিশ্বে আবিষ্কারের জন্য নতুন দক্ষতা প্রয়োজন, নতুন পণ্য এবং কাজের পদ্ধতিও আলাদা প্রয়োজন। এ জন্য মানুষের সৃজনশীলতা অপরিহার্য হতে চলেছে আগামী বিশ্বে।

    সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি:
    কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতি থেকে বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনর্নির্মাণের জন্য অপরিহার্য দক্ষতা হলো সংকটপূর্ণ সময়ে চিন্তাভাবনা। মহামারির সময়ে দেখা গেছে ফেক নিউজ এবং ভুল তথ্যের ছড়াছড়ির প্রবণতা দেখা গেছে। আমাদের নেতা, ব্যবসায়ী এবং সরকারগুলো দোষ অন্যর ঘাড়ে ছাপিয়ে মনোযোগ এবং যথাযথ তদন্তকে অন্য খাতে সরানোর চেষ্টা করেছে। তাই বিশ্বাসযোগ্য এবং বিভিন্ন উৎসের উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্যের মূল্যায়ন করতে পারে এমন লোকদের মূল্য বাড়বে। সমস্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো তথ্যটি জানা উচিত তা বুঝতে সংস্থাগুলোকে সমালোচনামূলক চিন্তাধারার লোকেদের ওপর নির্ভর করতে হবে।

    ডিজিটাল এবং কোডিং দক্ষতা:
    করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ে ডিজিটাল রূপান্তর উৎসাহ পেয়েছে। ডিজিটাল বিপণন, কোডিং, ওয়েব ডেভলভমেন্টসহ ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন পেশাদারদের প্রয়োজন ও গুরুত্ব এখনকার চেয়ে আরও বেশি হবে। যে ব্যক্তিরা অর্থনৈতিক মন্দা বা মহামারির সময় ডিজিটাল ব্যবসা চালিয়েছেন তারা অবশ্যই পরবর্তী নিয়োগের তালিকায় থাকবেন। আর এখন সব কোম্পানি বা সংস্থাগুলো এখন ডিজিটাল ভিত্তিক হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ডিজিটাল দক্ষতায় কাজ করার সুযোগগুলো অগণিত।

    নেতৃত্ব:
    ভবিষ্যতে মেশিন বা যন্ত্রের সহায়তায় কাজের ক্ষেত্র বাড়বে। সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ চলাসহ একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এ সময়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতৃত্ব দরকার। করোনভাইরাস পরবর্তী বিশ্বে কাজ করা লোকের জন্য বিভিন্ন সময়ে যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। নেতৃত্বের দৃঢ়তা, দক্ষতা, পেশাদারি একটি সেরা দলকে সামনে এগিয়ে নিতে দরকার। সেই নেতা তার দলকে চাহিদা মোতাবেক সহযোগিতার জন্য উৎসাহিত করবে।

    আজীবন শেখার প্রবণতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ:
    ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, আজকের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বলে যা বিবেচিত আগামী পাঁচ বছরে তা ৩৫ শতাংশ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। আর করোনাভাইরাস উত্তর সময়ে বাস্তবতার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক থাকার একমাত্র উপায়, জীবনভর শেখার মানসিকতা।

    করোনা পরবর্তী পৃথিবীর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বিকল্প অর্থনৈতক কার্যক্রম: 
    এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও করোনা-পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আশাব্যঞ্জক পূর্বাভাস দিয়েছে। এবং অর্থনীতিবিদদের মতে কয়েকটি খাতে বিশেষ গুরুত্ব এবং বরাদ্দ রাখলে করোনা পরবর্তীতে দেশের আর্থিক খাতসমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে না। এই খাতের মধ্যে আছে কৃষি, তৈরি পোশাক, চিকিৎসা-সামগ্রী উৎপাদন, খাবার প্রসেসিং, যানবাহন, নির্মাণ, খুচরা ব্যবসা, স্বাস্থ্য ও ফার্মাসিউটিক্যালস।
    বর্তমানে ই-কমার্স এবং লজিস্টিক সার্ভিসে চাহিদা বেড়েছে এবং এই সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন। লজিস্টিক সেক্টরে এক্সিকিউটিভ, সুপারভাইজার ও ডেলিভারিম্যান এসকল স্তরে কর্মক্ষেত্র বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এই সেক্টরে আরো অনেক বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। 

    হোম অফিস প্রচলনের ফলে আইটি সেক্টর ও নেটওয়ার্কিংয়ের লোকজনের ও চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু ই-কমার্স ও ডিজিটাল ব্যবসার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্যবসার লজিস্টিক সাপোর্ট ও পরামর্শকের চাহিদাও বেড়েছে অনেক। এক্ষেত্রে, ব্যবসায় প্রশাসন বিশেষ করে মার্কেটিং ও অন্যন্য ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের চাহিদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। 

    করোনার কারণে তৈরি পোশাক খাতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তৈরির বিষয়ে কাজ করলে এই খাতটিও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কারণ মাস্ক, গ্লার্ভস, পিপিই'র মতো সামগ্রীর চাহিদা দেশ ও বিদেশে রয়েছে। তাই, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে ভবিষ্যতে লোকবল নিয়োগ ও  শ্রমিক নির্ভর বেশি সেসব প্রকল্পকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। এইসঙ্গে 'কাজের বিনিময়ে খাদ্য' প্রকল্পকে এর যুক্ত করে গ্রামাঞ্চলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব। অবকাঠামো খাতে যে বরাদ্দ আছে তা না বাড়িয়েও এটা করা সম্ভব। এ খাতে দৃষ্টি দিতে হবে শ্রমনির্ভর কাজের ক্ষেত্রে। তাতে বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

    অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে অর্থের জোগান সহজ করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এসব অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাগুলোতে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রণোদনা দেওয়া হয়। তবে এর বাইরে এনজিও'র সহযোগিতায় ঋণের অর্থ সহজে ও দ্রুততম সময়ে পাওয়ার ব্যবস্থা করলে অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘুরতে শুরু করবে। এমনটাই মনে করেন গবেষকরা।  

    স্বাস্থ্যসেবা কর্মী ও ফিরে আসা প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়ার বিষয়ে গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার বলে গবেষকদের মতামত। সাধারণত সরকার যেসব কারিগরি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে আসছে তার বাইরেও এখন স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া দেওয়া জরুরি। কারণ দেশ ও বিদেশে এখন প্রয়োজন হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী। এজন্য গবেষণায় বলা হয়, যেসব প্রবাসী কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিলে নতুন কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি হবে।

    স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক গতি আনতে 'আমার গ্রাম-আমার শহর' প্রকল্পকে ফাস্ট ট্র্যাকে নিতে পারলেই টেকসই ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, শহরমুখী না হয়ে যদি গ্রামে সকল সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া যায় তাহলে গ্রামের মানুষ গ্রামে থেকেই ব্যবসায় করতে পারবে। সরকার এই বিষয়ক যে উদ্যোগ আছে সেটাকে আরো বিস্তৃত ও দ্রুত করা গেলে স্থানীয় উন্নয়ন সম্ভব।

    এছাড়াও, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে খরচ করতে পারলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষ গ্রামমুখী হবে, শহর কেন্দ্রিকতা কমবে, সংক্রমণও কমবে বলে মত দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।  কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এই খাতে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন তারা। তারা বলছেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডমুখী করার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুনরূপে সাজানো সম্ভব।

    পরিশেষে বলা যেতে পারে- বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও শ্রমবাজারে সংকটময় অবস্থায় বাংলাদেশ আলাদা কোন ভূ-খন্ড নয়। তবে অর্থনীতিবিদদের মতে, আমাদের আশার আলো হলো আমাদের উৎপাদনশীল অর্থনীতি ও সস্তা শ্রমবাজার। অনেক নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মতে, এই করোনায় যারা চাকরী হারিয়েছে এই সময়ে ধৈর্য ধরতে হবে। সময় নষ্ট না করে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অনলাইনে উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে কোর্সসমূহ করে নিজেদেরকে ভবিষ্যৎ চাকরির বাজারের জন্য তৈরি করতে হবে। উপরন্তু, যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদেরকে একটু ফ্লেক্সিবল হতে হবে পরবর্তী চাকরিতে প্রবেশের জন্য। বেতন তুলনামূলক কম হলেও নিজদেরে সেক্টরগুলা বাছাই করে ঢুকে পড়তে হবে কারণ ক্যারিয়ারে গ্যাপ হলে ভবিষ্যতে তা আরো বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো অল্প সময়ের মধ্যে আগের অবস্থানে চলে যাওয়া যাবে। 
     

    • লেখক: প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা, ডাবর বাংলাদেশ

  • Skill

    Analytical skill development

    Analytical skills refer to the ability to break down complex problems into smaller components, understand the relationships between these components, and use logical reasoning to draw conclusions. Individuals with strong analytical skills are able to gather, analyze, and interpret information effectively, and use this information to make informed decisions.

    Analytical skills are highly valued in many industries and professions, including business, finance, data analysis, engineering, science, and technology. Employers look for individuals with strong analytical skills because they are able to identify problems and find solutions, as well as make informed decisions based on data and evidence.

    Some key aspects of analytical skills include:

    Critical Thinking: Analytical thinkers are able to approach problems objectively and evaluate information in a logical, systematic way. They are able to identify underlying assumptions and biases, and evaluate evidence to draw conclusions.

    Problem-Solving: Individuals with strong analytical skills are able to break down complex problems into smaller, more manageable components, and develop effective solutions. They are able to identify the root cause of problems and develop strategies to address them.

    Data Analysis: Analytical thinkers are able to gather, analyze, and interpret data effectively. They are able to identify trends, patterns, and relationships in data, and use this information to make informed decisions.

    Attention to Detail: Analytical thinkers are able to focus on details and identify potential errors or inconsistencies in information. They are able to spot patterns and anomalies that others may overlook.

    Communication: Individuals with strong analytical skills are able to communicate complex information effectively, both verbally and in writing. They are able to present data and evidence in a clear, concise way, and make recommendations based on their analysis.

    Developing strong analytical skills takes time and practice. It requires individuals to be curious, open-minded, and willing to learn. Some strategies for developing analytical skills include:

    Reading widely: Reading widely and keeping up-to-date with current events and industry trends can help individuals develop a broader perspective and identify patterns and trends.

    Practicing problem-solving: Practicing problem-solving exercises, such as puzzles or logic games, can help individuals develop their analytical skills.

    Asking questions: Asking questions and challenging assumptions can help individuals develop critical thinking skills and approach problems objectively.

    Learning data analysis: Learning data analysis techniques and tools, such as Excel or Python, can help individuals gather, analyze, and interpret data effectively.

    Seeking feedback: Seeking feedback from others can help individuals identify areas for improvement and refine their analytical skills.

    Overall, analytical skills are essential for success in many industries and professions. By developing strong analytical skills, individuals can become better problem-solvers, make informed decisions based on evidence and data, and communicate their ideas effectively. Analytical skills are important for students because they are essential for success in academic and professional settings. Students with strong analytical skills are better equipped to process information, understand complex concepts, and make informed decisions. Here are some reasons why analytical skills are important for students:

    Academic Success: Analytical skills are essential for academic success, particularly in fields such as science, mathematics, and engineering. Students who are able to analyze and interpret data effectively are better able to understand complex concepts and perform well on exams and assignments.

    Problem-Solving: Students with strong analytical skills are better equipped to solve complex problems and make informed decisions. This is important not only in academic settings but also in professional settings, where problem-solving is a critical skill.

    Critical Thinking: Analytical skills are closely linked to critical thinking, which involves evaluating information objectively and making reasoned judgments. Students who develop strong analytical skills are better able to think critically and approach problems with a logical, systematic approach.

    Career Readiness: Analytical skills are highly valued by employers in many industries, including business, finance, technology, and science. Students who develop strong analytical skills are better prepared for a variety of careers and may have an advantage in the job market.

    Lifelong Learning: Analytical skills are essential for lifelong learning, which involves the continuous acquisition of knowledge and skills. Students who develop strong analytical skills are better equipped to learn new information and adapt to changing environments throughout their lives.

    Overall, analytical skills are important for students because they are essential for academic success, problem-solving, critical thinking, career readiness, and lifelong learning. By developing strong analytical skills, students can improve their academic performance, prepare for a variety of careers, and become more effective learners and problem-solvers.

     Analytical skills are important for professionals because they enable individuals to make informed decisions based on data and evidence. In today's data-driven and complex work environments, analytical skills are critical for success in many industries and professions. Here are some reasons why analytical skills are important for professionals:

    Problem-Solving: Professionals with strong analytical skills are able to break down complex problems into smaller components, identify patterns and trends, and develop effective solutions. This is important in many industries, where problem-solving is a critical skill.

    Decision-Making: Analytical skills are essential for making informed decisions based on data and evidence. Professionals who are able to analyze and interpret data effectively are better equipped to make decisions that are based on objective information, rather than intuition or guesswork.

    Strategic Planning: Analytical skills are important for strategic planning, which involves analyzing data and trends to identify opportunities and develop effective strategies. Professionals who are able to analyze and interpret data effectively are better equipped to develop successful methods for their organizations.

    Innovation: Analytical skills are closely linked to innovation, which involves identifying new ideas and opportunities. Professionals who are able to analyze data and identify patterns and trends are better equipped to develop innovative solutions and products.

    Career Advancement: Professionals with strong analytical skills are highly valued in many industries and may have an advantage in the job market. Developing strong analytical skills can also lead to career advancement opportunities and higher salaries.

     


  • Education

    Tips for managing money in the university life

    Tips for managing money in the university life
    Managing money in university can be challenging, especially if you're living away from home for the first time. Here are some tips to help you manage your money effectively:

    Create a budget: Make a list of all your expenses, including rent, food, utilities, transportation, textbooks, and other school supplies. Compare your expenses to your income (e.g. student loans, scholarships, part-time job) and create a budget that you can stick to.

    Cut down on unnecessary expenses: Look for ways to save money, such as buying used textbooks, cooking meals at home, and using public transportation instead of owning a car.

    Keep track of your spending: Keep a record of all your expenses, whether it's in a notebook, an Excel spreadsheet, or a budgeting app. This will help you stay on track and avoid overspending.

    Use student discounts: Take advantage of student discounts on everything from food to entertainment. Many businesses offer discounts to students, so make sure to ask.

    Avoid credit card debt: Credit cards can be a useful tool, but they can also lead to debt if not used wisely. Avoid using credit cards for unnecessary expenses and pay off your balance in full each month.

    Consider part-time work: A part-time job can help you earn some extra income to cover your expenses. Look for opportunities on campus or in the surrounding area that won't interfere with your studies.

    Be mindful of your financial goals: Keep your long-term financial goals in mind and make decisions that align with them. 
    Live within your means: It is important to live within your means and avoid overspending. This may mean cutting back on unnecessary expenses such as eating out or going to the movies, and focusing on essential items like rent, food, and transportation.
    Look for ways to save money: There are many ways to save money as a student. You can shop around for the best deals on textbooks, take advantage of student discounts, and save money on groceries by cooking at home instead of eating out.

    Plan for unexpected expenses: It's always a good idea to have an emergency fund to cover unexpected expenses such as car repairs or medical bills. Set aside some money each month for your emergency fund, and avoid dipping into it unless it's absolutely necessary.
    By following these tips, you can manage your money effectively and ensure that you have a successful and financially stable university life.


  • Economy

    An observation on Bangladesh Economy

    Bangladesh is a developing country located in South Asia with a population of over 160 million people. The country has made significant economic progress over the past few decades, but it still faces many challenges. Here is an overview of Bangladesh's economic situation:

    Growth: Bangladesh has been one of the fastest-growing economies in the world, with an average annual growth rate of around 6% over the past decade. However, growth has slowed down in recent years, largely due to the COVID-19 pandemic.

    Agriculture: Agriculture is the largest sector of the economy, employing around 40% of the workforce and contributing around 15% to the GDP. Major crops include rice, jute, tea, wheat, sugarcane, and vegetables.

    Industry: The industrial sector is growing rapidly, with the garment industry being the largest employer and exporter. Other industries include pharmaceuticals, textiles, ceramics, leather goods, and shipbuilding.

    Services: The services sector is the fastest-growing sector of the economy, contributing around 52% to the GDP. Major services include telecommunications, banking, insurance, tourism, and transportation.

    Exports: Bangladesh's export earnings have been growing rapidly over the past decade, with garments and textiles accounting for the majority of exports. Other exports include leather goods, jute, seafood, and pharmaceuticals.

    Imports: Bangladesh's imports have been growing rapidly as well, largely due to the country's reliance on imported energy and raw materials for its industries. Major imports include petroleum, machinery, chemicals, and food.

    Poverty: Despite the country's economic growth, poverty remains a major challenge. According to the World Bank, around 24% of the population still lives below the poverty line.

    Infrastructure: Infrastructure remains a major challenge in Bangladesh, with poor roads, inadequate power supply, and limited access to clean water and sanitation.

    Inflation: Inflation has been a persistent problem in Bangladesh, averaging around 6% over the past decade. The government has taken steps to control inflation, but rising fuel and food prices have been a major challenge.

    Overall, Bangladesh has made significant progress in its economic development, but the country still faces many challenges in achieving sustained and inclusive growth. The government has set ambitious targets for the future, including becoming a middle-income country by 2021 and achieving the Sustainable Development Goals by 2030.